দিল্লির ৬টি স্কুলে বোমাতঙ্ক সকাল থেকে। এই নিয়ে চলতি সপ্তাহে দ্বিতীয়বারের জন্যে স্কুলে স্কুলে বোমাতঙ্ক দেখা দিল। আজ সকাল সকাল দিল্লির নামকরা কয়েকটি স্কুলে বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ইমেল গিয়েছিল। এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর দিল্লির ৪৪টি স্কুলে এই ধরনের ইমেল গিয়েছিল। তবে সেই হুমকি ইমেল ভুয়ো বলে প্রমাণিত হয়। আর আজকের ঘটনায় ইতিমধ্যেই হুমকি পাওয়া স্কুলগুলিতে তল্লাশি চালাতে শুরু করেছে পুলিশ সহ একাধিক নিরাপত্তা এজেন্সি। (আরও পড়ুন: গভীর রাতে হাসপাতালে ভয়াবহ আগুন, উদ্ধার ৩০ রোগী, তবে মর্মান্তিক মৃত্যু ৬ জনের)
আরও পড়ুন: বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাংলাদেশিদের খোঁজ পুলিশের! একদিনেই চিহ্নিত ২০ অনুপ্রবেশকারী
আরও পড়ুন: হাতছাড়া হবে ফেনি? কলকাতা দখলের ডাক দেওয়া বাংলাদেশ এখন নিজেই আতঙ্কে কাঁপছে!
রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিম বিহারে অবস্থিত ভাটনগর ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে সকাল ৪টে ২১ মিনিট নাগাদ হুমকি ইমেল আসে, শ্রী নিবাস পুরীতে অবস্থিত কেমব্রিজ স্কুলে হুমকি ইমেল আসে সকাল ৬টা ২৩ মিনিটে, পূর্ব কৈলাসের ডিপিএস অমর কলোনিতে হুমকি ইমেল আসে সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে, ডিফেন্স কলোনিতে অবস্থিত দক্ষিণ দিল্লি পাবলিক স্কুলে সকাল ৭টা ৫৭ মিনিটে আসে হুমকি ইমেল, সফদরজংয়ে দিল্লি পুলিশ পাবলিক স্কুলে হুমকি ইমেল আসে সকাল ৮টা ২ মিনিটে এবং রোহিণীতে অবস্থিত ভেঙ্কটেশ্বর গ্লোবাল স্কুলে হুমকি ইমেল আসে সকাল সাড়ে ৮টায়। (আরও পড়ুন: ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ কতটা জানেন? কী হাল পাকিস্তানের?)
আরও পড়ুন: ঘুষ চেয়েছিলেন বিচারক, ইঞ্জিনিয়ার আত্মহত্যা মামলায় বিস্ফোরক অতুলের বাবা
আরও পড়ুন: CBI চার্জশিটকে 'কলকাতা পুলিশের চার্জশিট' আখ্যা, আরজি কর নির্যাতিতার বাবা বললেন…
উল্লখ্য, এর আগে দিল্লিতে পরপর দু'টি বিস্ফোরণ ঘটেছিল। গত ২৮ নভেম্বর দিল্লির প্রশান্ত বিহার এলাকায় একটি পিভিআর সিনেমা হলের সামনে একটি বিস্ফোরণ ঘটেছিল। একটি মিষ্টির দোকানের পাশে পার্কের সীমানা প্রাচীরের সামনে বিস্ফোরণটি ঘটেছিল। ঘটনাস্থল থেকে পাউডার জাতীয় কিছু পদার্থ মিলেছিল। এর আগে গত ২০ অক্টোবর দিল্লিতে অবস্থিত সিআরপিএফ স্কুলে বিস্ফোরণ ঘটেছিল। সেই ঘটনায় খলিস্তানি যোগ থাকার সম্ভাবনা সামনে এসেছিল। সেই ঘটনাতেও বিস্ফোরণস্থল থেকে সাদা পাউডারের মতো পদার্থ মিলেছিল। অক্টোবরের সেই বিস্ফোরণের পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছিল, যাতে দাবি করা হয়েছে যে খলিস্তানিদের বিরুদ্ধে ভারতীয় এজেন্টদের অপারেশনের প্রতিশোধ নিতে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়া বার্তায় 'খলিস্তান জিন্দাবাদ' ওয়াটারমার্ক ছিল। তাতে বলা হয়, 'যদি ভারতের কাপুরুষ এজেন্সি মনে করে যে তারা গুন্ডা পাঠিয়ে আমাদের সদস্যদের চুপ করাতে পারবে, তাহলে তারা মূর্খের জগতে বাস করছে। তারা চিন্তাও করতে পারবে না যে আমরা তাদের কথা চাছে আছি এবং যেকোনও সময় হামলা চালাতে পারি।' (আরও পড়ুন: সেন্ট মার্টিনের ঘুম উড়িয়েছে আরাকান আর্মি, বাংলাদেশে বাড়বে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ?)
সিআরপিএফ স্কুলের সেই বিস্ফোরণের জেরে এলাকায় ধোঁয়ায় ছেয়ে গিয়েছিল বেশ কয়েক মিনিটের জন্যে। আশেপাশের এলাকায় তীব্র রাসায়নিকের গন্ধও ছড়িয়ে পড়েছিল সেই সময়ে। এই বিস্ফোরণে কেউ হতাহত হননি। তবে বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে সিআরপিএফ স্কুলের প্রাচীর ভেঙে যায় এবং বেশ কয়েকটি জানালার কাচ ভেঙে যায়। তদন্তকারীরা দাবি করেছেন, ঘটনাস্থলে বিস্ফোরক এমন ভাবে রাখা হয়েছিল যাতে ১০ ফুট দূরত্ব পর্যন্ত একটি 'শকওয়েভ' বা কম্পন তৈরি হয়। বিস্ফোরকে ‘রিফ্লেকটিভ প্রেসারের’ মাধ্যমে বিশাল এলাকা জুড়ে কম্পন সৃষ্টির কৌশল ব্যবহার করা হয়েছিল। এতে কঠিন এবং তরল পদার্থের মধ্যে উচ্চচাপ সৃষ্টি করে গ্যাসে পরিণত করা হয়। বিস্ফোরণের পর সেই গ্যাস খুব জলদি আশেপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এর জেরেই শক্তিশালী একটি কম্পন অনুভূত হয়।