বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই দেশজুড়ে চর্চা চলছে শ্রদ্ধা ওয়াকরের হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই নিয়ে এবার ইন্টারনেটের দিকে আঙুল তুলে মন্তব্য করলেন বম্বে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। বিচারপতি দত্ত বলেন, এই যুগে ইন্টারনেটের নেতিবাচক দিক উপস্থাপন করে এই মামলাটি। উল্লেখ্য, শ্রদ্ধাকে খুন করে ইন্টারনেটে মানবদেহের কাঠামো নিয়ে পড়াশোনা করেছিল প্রেমিক আফতাব। ওয়েবসিরিজ ‘ডেক্সটার’-এর থেকে ‘অনুপ্রেরণা’ নিয়ে শ্রদ্ধার দেহের ৩৫ টুকরো করেছিল। এই আবহে ইন্টারনেটের ‘নেতিবাচক’ দিক তুলে ধরেন বিচারতি দীপঙ্কর দত্ত।
বিচারপতি দত্ত বলেন, ‘আপনি সবেমাত্র মুম্বইয়ের প্রেম এবং দিল্লিতে ভয়াবহ ঘটনা (শ্রদ্ধা ওয়াকর খুনের ঘটনা) সম্পর্কে সংবাদপত্রে পড়েছেন। এই সমস্ত অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে কারণ ইন্টারনেটে আজকাল প্রচুর বিষয় নিয়ে জানা যাচ্ছে। আমি নিশ্চিত যে ভারত সরকার বর্তমানে এই নিয়ে সঠিক পথে চিন্তা করছে। ভারতীয় টেলিকমিউনিকেশন বিল আছে। প্রতিটি ব্যক্তির মর্যাদা বজায় রাখার জন্য, আমাদের সকল নাগরিকের ভ্রাতৃত্বের জন্য, ন্যায়বিচার সুরক্ষিত করার জন্য, আমাদের সংবিধানের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার লক্ষ্য অর্জন করতে হলে এবং এই সমস্ত পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য আমাদের কিছু শক্তিশালী আইনের প্রয়োজন।’
বম্বে উচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘নতুন যুগে নতুন নতুন যন্ত্র উদ্ভাবন হচ্ছে। ১৯৮৯ সালে, আমাদের কাছে কোনও মোবাইল ফোন ছিল না। দুই বা তিন বছর পরে, আমরা পেজার দখল ব্যবহার করতে শুরু করি। তারপরে আমাদের কাছে সেই বড় মটোরোলা মোবাইল হ্যান্ডসেটগুলি আসে। এখন যে ছোট ফোন আমাদের হাতে আছে তা সেই সময় কেউ কল্পনাই করতে পারত না। যাইহোক, এগুলি যে কেউ হ্যাক করতে পারে, এটি আমাদের গোপনীয়তার উপর আক্রমণ করে।’