ক্ষোভ ছিল চার বছরের ছোট্ট মেয়েটির বাবার বিরুদ্ধে। আর তার জেরে তাঁর মেয়েকে খুনের অভিযোগে কারাবন্দি হয় বছর ২৪ এর এক যুবক। যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণেরও অভিযোগ ছিল। তবে আদালত জানিয়েছে, প্রাপ্ত প্রমাণ থেকে ধর্ষণের অভিযোগ সম্পর্কিত কোনও চিহ্ন উঠে আসেনি। এই পরিস্থিতিতে বম্বে হাইকোর্টে এক বিরল রায়ে এই খুনের আসামীর মৃত্যুদণ্ড খারিজ করে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিল আদালত।
ঘটনার সূত্রপাত ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে। সেই সময় এক পানের দোকানের মালিকের থেকে কিছু টাকা ধার নেয় ওই যুবক। পরে শোধ না দিতে পারায় ওই পানের দোকানের মালিক, যুবককে থাপ্পড় মারেন বলে অভিযোগ। ওই থাপ্পড়ের প্রতিশোধ নিতে ওই পানের দোকানের মালিকের ছোট্ট ৪ বছরের মেয়েকে যুবক খুন করে বলে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। অভিযোগ ছিল ধর্ষণেরও। পেশায় শ্রমিক ওই যুবককে এরপর আইনি পথে পাকড়াও করা হয় বিহার থেকে। তোলা হয় আদালতে। চলে মামলা। বম্বে হাইকোর্টে জাস্টিস সাধনা যাদব ও জাস্টিস পৃথ্বীরাজ চভনের বেঞ্চে ওঠে মামলা। বেঞ্চ জানিয়েছে, যে সময় এই ঘটনা ঘটেছে তখন অভিযুক্তের বয়স ছিল ২০। আদালত বলেছে, রাগের বশে সেই সময় ওই নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছে সে, এমনকি অভিযুক্ত যে কোনও দাগী অপরাধী তারও কোনও রেকর্ড নেই। ফলে দোষ প্রমাণ হলেও ওই যুবককে মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেয় আদালত। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ওই চার বছরের বালিকাকে খুঁজে না পেয়ে তার পরিবার পুলিশের দ্বারস্থ হয়।পরে এলাকার একটি ঝোপঝাড় থেকে উদ্ধার হয় মেয়েটির দেহ। ততক্ষণে পচাগলা অবস্থায় দেহটি উদ্ধার হয়। দেখা যায়, খুন হয়েছে নৃশংসভাবে। দেহ থেকে কেটে ফেলা হয় একটি হাত ও একটি পা।
পরবর্তীকালে অভিযুক্তের খোঁজ করে জানা গিয়েছে, ওই যুবক তার রুমমেটকে জানিয়েছিল যে সে এই খুন করেছে। তড়িঘড়ি গ্রেফতার করা হয় যুবককে। ২০১৯ সালে ৮ মার্চ ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয় যুবক। ততদিনে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও খুনের মামলা দায়ের হয়েছিল। পরবর্তীকালে বম্বে হাইকোর্ট জানায় যে, ওই মামলায় ধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি। শেষপর্যন্ত আদালত এই উপসংহারে উপনীত হয় যে, ১৫০০ টাকার অনাদায়ে ওই যুবককে মারধর করার পর, তার প্রতিশোধ নিতেই ওই নৃশংস খুন করে সে। ঘটনার যাবতীয় দিক বিচার করে শাস্তির পরিমাণ মৃত্যুদণ্ড থেকে সরিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে পরিণত করা হয়।
পরবর্তীকালে অভিযুক্তের খোঁজ করে জানা গিয়েছে, ওই যুবক তার রুমমেটকে জানিয়েছিল যে সে এই খুন করেছে। তড়িঘড়ি গ্রেফতার করা হয় যুবককে। ২০১৯ সালে ৮ মার্চ ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয় যুবক। ততদিনে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও খুনের মামলা দায়ের হয়েছিল। পরবর্তীকালে বম্বে হাইকোর্ট জানায় যে, ওই মামলায় ধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি। শেষপর্যন্ত আদালত এই উপসংহারে উপনীত হয় যে, ১৫০০ টাকার অনাদায়ে ওই যুবককে মারধর করার পর, তার প্রতিশোধ নিতেই ওই নৃশংস খুন করে সে। ঘটনার যাবতীয় দিক বিচার করে শাস্তির পরিমাণ মৃত্যুদণ্ড থেকে সরিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে পরিণত করা হয়।|#+|