এক নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। সেই মামলায় বৃদ্ধকে বেকসুর খালাস দিল বম্বে হাইকোর্ট। এই মামলায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ। আদালতের মতে, বৃদ্ধের বিরুদ্ধে যে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে তা ঠিক নয়। নাবালিকার আচরণ দেখে আদালতের মনে হয়েছে সে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়নি। এরপরেই নিম্ন আদালতের ২০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ খারিজ করে বৃদ্ধকে বেকসুর খালাস করে হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: কলকাতার যুবতীকে বর্ধমানে লাগাতার ধর্ষণ করার অভিযোগ, যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ
মামলার বয়ান অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৯ সালে। নাবালিকা তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। স্কুলে যাওয়ার আগে নাবালিকা একটি মন্দিরের কাছে খেলছিল। পর তার মা তাকে মন্দিরে খেলতে দেখতে পান এবং তাকে স্কুলে নামিয়ে দেন। মেয়েটি স্কুল থেকে ফিরে আসার পর মাকে জানায় সে অসুস্থ বোধ করছে। পরের দিন মেয়েটি মাকে জানায় যে অভিযুক্ত বৃদ্ধ তাকে মিষ্টি খেতে দেয় এবং জোর করে তার গোপনাঙ্গ স্পর্শ করে। সেই কারণে গোপনাঙ্গে সে ব্যথা অনুভব করছিল। এরপরই আশেগাঁও থানায় বৃদ্ধের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন মা। অভিযুক্ত বিজয় জভাঞ্জল অমরাবতী জেলার অচলপুরের বাসিন্দা। সেই মামলায়
ধর্ষণের অভিযোগে, নিম্ন আদালত তাকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেয়। পরে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বৃদ্ধ। বিচারপতি গোবিন্দ সানাপ জওয়াঞ্জাল পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘একজন নাবালিকা যৌন নির্যাতনের শিকার হলে কখনই সে সাধারণভাবে আচরণ করবে না। এই অভিজ্ঞতা তার কাছে ভয়াবহ হবে এবং খেলবে না।’
মুক্তির নির্দেশ দেওয়ার সময় আদালত জানায়, যদি অভিযুক্তের দ্বারা এমন একটি কাজ করা হয়ে থাকে, তবে এটি একটি জঘন্য কাজ। এই ধরনের কাজ নিঃসন্দেহে নাবালিকাকে আতঙ্কিত করত। একটা ট্রমার মধ্যে দিয়ে যেত। সাধারণ পরিস্থিতিতে এমন জঘন্য কাজের পরেই ঘটনাস্থল থেকে বাড়িতে গিয়ে সে তার মাকে ঘটনাটি বর্ণনা করত।
মায়ের জবানবন্দির উল্লেখ করে বিচারপতি বলেন, তিনি মেয়েকে খুঁজতে গিয়ে দেখেন, অভিযুক্ত পাশে বসে আছে আর মেয়েটি খেলছে। শুধু তাই নয়, নাবালিকা জানিয়েছে তার মা-ই অভিযুক্তের নাম বলতে জোর করেছিল। বলেছে যে তার মা তাকে আদালতে বলতে বলেছিলেন যে অভিযুক্ত তাকে যৌন হয়রানি করেছেন। সেটা না বললে তাকে শাস্তি দেওয়া হবে বলেও মা তাকে বলেছিল। আদালত আরও বলেছে, এই ঘটনায় অভিযুক্তের বয়স ৬৪ বছর। তাই তার যৌনক্ষমতা পরীক্ষা করা উচিত ছিল। কিন্তু, তা করা হয়নি।