পুনোর পোর্শে দুর্ঘটনায় অভিযুক্ত নাবালককে পর্যবেক্ষণ হোম থেকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট। ফলে এই মামলায় ওই নাবালক পেল জামিন। মঙ্গলবার এই নির্দেশ আসে বম্বো হাইকোর্টের তরফে। কয়েক সপ্তাহ আগেই এক ১৭ বছর বয়সী নাবালকের এই গাড়ি দুর্ঘটনা কাণ্ডে মৃত্যু হয় ২ বারই আরোহীর। সেই ঘটনা গোটা দেশে চাঞ্চল্য তৈরি করে। অভিযোগ, মদ্যপ অবস্থায় ১৭ বছর বয়সী ওই নাবালক গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তখনই ঘটে যায় এই দুর্ঘটনা। তসে কাণ্ডেই এই নাবালককে পর্যবেক্ষণ হোম থেকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট।
ঘটনা গত ১৯ মের। সেদিন, মহারাষ্ট্রের পুনের কল্যাণীনগরে এই কাণ্ড ঘটে যায়। মদ্যপ অবস্থায় সেই দিন গাড়ি চালাচ্ছিলেন বলে ওই ১৭ বছর বয়সী নাবালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ। অভিযোগ, ঘটনার সময় তাঁর হাতে ছিল বিলাসবহু পোর্শেগাড়ির স্টিয়ারিং। আর সেই অবস্থাতেই গাড়ি চালানোর সময় তিনি ধাক্কা দেন এক বাইকে। বাইকে তখন ছিলেন দুই সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। পোর্শের ধাক্কায় ওই ২ ইঞ্জিনিয়ারের মৃত্যু হয়। সেই মামলায় নাবাবককে পর্যবেক্ষণ হোম থেকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে বম্বে হাইকোর্ট বলছে, ‘ আমরা আবেদন মঞ্জুর করছি এবং তাকে (নাবালকের) মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছি। যে নাবালককে (দ্য চাইল্ড ইন কনফ্লিক্ট উইথ ল বাসিসিএল) নিয়ে এই মামলা, সে পিটিশনকারীর (পিতামাতা) যত্ন ও হেফাজতে থাকবে।’ বেঞ্চ বলেছে যে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের (জেজেবি) রিমান্ডের আদেশ অবৈধ এবং যথাযথ এক্তিয়ার ছাড়াই জারি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, যে নাবালককে ঘিরে এই তোলপাড় তিনি এক তাবড় রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী বিশাল আগারওয়ালের সন্তান। এই কাণ্ডে তিনি ধরা পড়ার পরই তাঁকে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড বা জেজেবি জামিন দিয়েছিল। তবে সেবার শর্ত ছিল ৩০০ শব্দের রচনা লিখলে মিলবে জামিন। সেই বিষয়টি নিয়ে তুমুল তোলপাড় চলে দেশে। ওই মামলায় দেশ জুড়ে জেজেবির তুমুল সমালোচনার পর জোরালো তদন্তে নামে পুলিশ। পুলিশ জানায় ঘটনার সময় ওই নাবালক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। পুলিস এই মামলায় রিভিউয়ের পথে হাঁটতেই জেজেবি ওই নাবালককে রিমান্ডে নেয়। হেফাজতে নিয়েই তাঁকে পর্যবেক্ষণ হোমে পাঠায়। সেই পর্যবেক্ষণ হোম থেকেই মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট।