শিল্পপতি গৌতম আদানি ও রাজেশ আদানিকে বাজার বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ থেকে রেহাই দিল বম্বে হাইকোর্ট। আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান এবং তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে ৩৮৮ কোটি টাকার বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছিল। ২০১২ সালে আদানি এন্টারপ্রাইজেস লিমিটেড এবং এর প্রতিষ্ঠাতা গৌতম আদানি এবং এক্সিকিউটিভ রাজেশ আদানির বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং প্রতারণার অভিযোগে চার্জশিট দাখিল করে আইনি কার্যক্রম শুরু করেছিল সিরিয়াস ফ্রড ইনভেস্টিগেশন অফিস (এসএফআইও)। (আরও পড়ুন: পাক ISI-এর নির্দেশেই পঞ্জাবের মন্দিরে বিস্ফোরণ? এনকাউন্টারে মৃত অভিযুক্ত)
আরও পড়ুন: 'ভারত-চট্টগ্রাম ভাগের ছক কষা হচ্ছে', বিস্ফোরক দাবি বাংলাদেশি সাংবাদিকের
আরও পড়ুন: 'আল্লাহর ইচ্ছাতেই গুলি খেয়ে মরেছে আবু কাতাল... আলহামদুলিল্লাহ!'
এর আগে এই মামলায় দায়রা আদালতের রায় গিয়েছিল আদানিদের বিরুদ্ধে। এই আবহে ২০১৯ সালে দায়রা আদালতের রায় খারিজ করার আবেদন জানিয়ে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আদানিরা। সোমবার বিচারপতি আর এন লাড্ডার সিঙ্গল বেঞ্চ দায়রা আদালতের নির্দেশ খারিজ করে দিয়ে এই মামলায় দু'জনকে খালাস করে দেন। এর আগে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে দায়রা আদালতের আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। পর্যায়ক্রমে সেই স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। (আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে আরও তদন্তের দাবিতে মামলা শুনতে পারবে HC? বড় নির্দেশ SC-র)
আরও পড়ুন: SC-র বিচারপতি হিসেবে শপথ জাস্টিস বাগচীর, ক'দিনের মেয়াদে ২০৩১-এ CJI হবেন তিনি?
এই মামলায় প্রাথমিক ভাবে ২০১৪ সালের মে মাসে মুম্বইয়ের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আদানিদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়। তবে এসএফআইও এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করেছিল এবং নভেম্বর ২০১৯ সালে একটি দায়রা আদালত নিম্ন আদালতের রায় বাতিল করে। দায়রা আদালত উল্লেখ করে যে এসএফআইও আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে অবৈধ লাভের একটি মামলা উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে, এই আবহে আদনিদের বেকসুর খালাস দেওয়া যায় না। তবে সেই মামলা গড়ায় উচ্চ আদালতে। প্রাথমিক ভাবে হাইকোর্টে স্থগিতাদেশের মাধ্যমে স্বস্তি পেয়েছিলেন আদানি। আর এবার এই মামলা থেকে দীর্ঘ ১৩ বছর পর বেকসুর খালাস পেলেন তিনি। (আরও পড়ুন: গুলি মেরে চলে গেল! পাকিস্তানে এবার বিমানবন্দরে রহস্যজনক ভাবে খুন ইসলামি প্রচারক)
এদিকে কয়েক মাস আগেই আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা গৌতম আদানি ও তাঁর ভাইপো সাগর আদানির বিরুদ্ধে সিকিউরিটিজ জালিয়াতি ও ২৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে মামলা হয়েছে মার্কিন মুলুকে। এই ক্ষেত্রে গৌতম আদানির বিরুদ্ধে একই সঙ্গে দেওয়ানি এবং ফৌজদারি মামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন নিউ ইয়র্কের ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট জজ নিকোলাস জি গারাফিস।
মামলার প্রেক্ষিতে অভিযোগ, বাজার দরের চেয়ে বেশি দামে সৌরবিদ্যুৎ বিক্রির বরাত পেতে অন্ধ্রপ্রদেশ সহ ভারতের কয়েকটি রাজ্যের সরকারি আধিকারিক, জনপ্রতিনিধিদের ঘুষের প্রস্তাব দিয়েছিল আদানি গ্রিন এনার্জিস। এই সংক্রান্ত তিনটি অভিযোগের ভিত্তিতে আমেরিকার ন্যায়বিচার দফতর এবং বাজার নিয়ন্ত্রক সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ফৌজদারি এবং দেওয়ানি আইনের আওতায় মামলা করে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ফরেন কোরাপ্ট প্র্যাক্টিসেস আ্যাক্টে মামলা হয়েছে। এছাড়াও প্রতারণার মামলাও হয়েছে। এর পাশাপাশি শেয়ার এবং ঋণপত্রে টাকা তোলার ক্ষেত্রে নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগেও দেওয়ানি মামলা হয়েছে আদানি গ্রিনের বিরুদ্ধে।