লিভ এনক্যাশমেন্ট চাকরিজীবীদের অধিকার। একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এমনই পর্যবেক্ষণ করল বম্বে হাই কোর্ট। এই আবহে চাকরি থেকে অবসর নেওয়া দুই ব্যাঙ্ক কর্মীর পক্ষে বড় রায় দিল উচ্চ আদালতের বিচারপতি নিতীন জমাদার এবং বিচারপতি এমএম সত্যের ডিভিশন বেঞ্চ। রিপোর্ট অনুযায়ী, বম্বে হাই কোর্টের বিচারপতি নিতীন জমাদার এবং বিচারপতি এমএম সত্যের ডিভিশন বেঞ্চ একটি পর্যবেক্ষণে জানালেন, লিভ এনক্যাশমেন্ট চাকরিজীবীদের অধিকার। এই আবহে সরকারি মালিকানাধীন বিদর্ভ কোঙ্কন গ্রামীণ ব্যাঙ্কের দুই অবসরপ্রাপ্ত কর্মীকে তাঁদের জমে থাকা 'প্রিভিলেজ লিভ' এনক্যাশ করার অনুমতি দিল হাই কোর্ট। (আরও পড়ুন: রাজ্যে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর, বড় দাবি শাসকদলের শীর্ষ নেতার)
মামলাকারী দু'জন বিদর্ভ কোঙ্কন গ্রামীণ ব্যাঙ্কের চাকরি ছেড়ে দেওয়ায় তাঁদের জমে থাকা প্রিভিলেজ লিভ এনক্যাশ করতে পারেননি। অর্থাৎ, প্রিভিলেজ লিভ নিয়োগকর্তাকে 'বিক্রি' করতে পারেননি। এই আবহে তাঁরা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁদের অধিকার বুঝে নেওয়ার জন্য। সেই মামলাতেই ব্যাঙ্ক কর্মীদের পক্ষে রায় দিল হাই কোর্ট। (আরও পড়ুন: রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ৭৭টি মুসলিম শ্রেণিকে OBC সংরক্ষণ দেওয়া গণতন্ত্রকে অপমান: HC)
আরও পড়ুন: ‘টাকা নিয়ে ওবিসি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়’, আদালতের রায়ের পর বিস্ফোরক অভিযোগ সেলিমের
এই আবহে বম্বে হাই কোর্টের বিচারপতি নিতীন জমাদার এবং বিচারপতি এমএম সত্যে বিদর্ভ কোঙ্কন গ্রামীণ ব্যাঙ্ককে নির্দেশ দিয়েছে, মামলাকারী দুই প্রাক্তন কর্মীকে তাঁদের জমে থাকা প্রিভিলেজ লিভের বদলে ন্যায্য টাকা দিতে। আদালতের কথায়, 'বৈধ সংবিধিবদ্ধ বিধান ছাড়া লিভ এনক্যাশমেন্টের মতো অধিকার থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যায় না।'
আরও পড়ুন: বুথভিত্তিক তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশের আইনি বাধ্যবাধকতা নেই,এতে বিভ্রান্তি বাড়বে: EC
হাই কোর্ট নিজের নির্দেশে বলেছে, বৈধ সংবিধিবদ্ধ বিধান ছাড়া যদি কারও অধিকার খর্ব করা হয়, তাহলে তা সংবিধানের ৩০০এ ধারার লঙ্ঘন। লিভ এনক্যাশমেন্ট আসলে একজন চাকরিজীবীর অধিকার। সেটা একজন কর্মী উপার্জন করেছেন। তাই প্রিভিলেজ লিভ বিক্রি করে তার পরিবর্তে টাকা পাওয়া একজন কর্মীর অধিকারের মধ্যে পড়ে। (আরও পড়ুন: 'ভিতরে থেকে জেনেছি সিস্টেমে দলিত বিরোধী', বড় দাবি রাহুলের, পালটা খোঁচা মোদীর)
আরও পড়ুন: ময়দানে মেট্রোর ভবিষ্যৎ কী? হাই কোর্টে দীর্ঘ শুনানির পর যা জানা গেল...
উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালে অ্যাসিস্টেন্ট ম্যানেজার হিসেবে কাজে যোগ দেওয়া দত্তরাম সাওয়ান্ত ২০১৫ সালে চাকরি ছাড়েন। এদিকে ১৯৮৪ সালে ক্যাশিয়ার হিসেবে ব্যাঙ্কে যোগ দেওয়া সীমা সাওয়ান্ত চাকরি ছাড়েন ২০১৫ সালে। সব নিয়ম মেনে পদত্যাগ করার পর ব্যাঙ্কের থেকে তাঁরা সন্তোষজনক কাজের 'সার্টিফিকেট' পান। তবে লিভ এনক্যাশমেন্ট করতে পারছিলেন না তাঁরা।