প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস ‘শুগি বেইন’-এর জন্য ২০২০ সালের বুকার প্রাইজ পেলেন ব্রিটিশ সাহিত্যিক ডগলাস স্টুয়ার্ট।
রপ্রথম উপন্যাসে আশির দশকে গ্লাসগো শহরের শ্রমিক শ্রেণির কঠোর জীবন আলেখ্যর অনবদ্য ভাষ্য ফুটিয়ে তুলতে সফল হয়েছেন স্টুয়ার্ট। যদিও উপন্যাসের কেন্দ্রে রয়েছে সংগ্রামী এক পরিবারের বেঁচে থাকার লড়াই এবং জীবনযুদ্ধে ক্ষতবিক্ষত বাবা-মায়ের প্রতি সন্তানদের অকুণ্ঠ ভালোবাসার মর্মস্পর্শী উপাখ্যান।
শুগি বেইন ছাড়াও এবারের বুকার প্রাইজের জন্য মনোনীত বইগুলির মধ্যে ছিল অবনী দোশির ‘বার্নট সুগার’, যে বই ভারতে প্রকাশিত হয়েছে ‘গার্ল ইন হোয়াইট কটন’ নামে। ছিল ডায়ান কুকের ‘দ্য নিউ উইল্ডারলনেস’, সিৎসি ডাংগারেম্বার ‘দ্য মোর্নেবল বডি’, মাজা মেনজিসতের ‘দ্য শ্যাডো কিং’ এবং ব্র্যান্ডন টেলরের ‘রিয়েল লাইফ’।
এ বছরের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং প্রাক্তন বুকারজয়ী কাজুও ইশিগুরো, মার্গারেট অ্যাটউড ও বার্নাডিন এভারিস্তো।
পুরস্কারের বিচারকমণ্ডলীতে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন সাহিত্যিক লি চাইল্ড, সমীর রহিম, লেখক লেম সিসে এবং অনুবাদক এমিলি উইলসন। তার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সম্পাদক ও সাহিত্য সমালোচক মার্গারেট বাসবি।
পুরস্কারল প্রদান অনুষ্ঠানে বাসবি বলেন, ‘বিচারক হিসেবে আমরা মোট ১৬২টি বই পড়েছি। তার মধ্যে বেশ কিছু বইয়ে গুরুত্বপূর্ণ, আশ্চর্য রকম সাদৃশ্যযুক্ত এবং স্পষ্ট বার্তা রয়েছে। সেরা উপন্যাসসব সময় সমাজে মূল্যবান কথোপকথনের জন্য আমাদের সমাজকে প্রস্তুত করে। জলবায়ু পরিবর্তন, বিস্মৃত গোষ্ঠী, বার্ধক্য, জাতপাত বা প্রয়োজনে বিপ্লব নিয়েই শুধুমাত্র সমাজের বিড়ম্বনা ও অসাম্যের কথা বলে না। তার সঙ্গে পরিস্থিতি ব্যতিরেকে মনের সুন্দর অন্দরমহল, কল্পনাশক্তি এবং প্রাণশক্তির বিকাশ ঘটায়। অপ্রত্যাশিত ভাবেই ছয়টি বই চূড়ান্ত পর্বের জন্য বাছা হয়েছিল, যাদের চরিত্র ও সংলাপের বৈচিত্র আমাদের মনে রেশ রেখে গিয়েছে। বিশ্বের পাঠককুলের সামনে গঠনমূলক মনুষ্যত্ব গড়ার এই সব কাহিনি তুলে ধরতে ও বিশ্লেষণ করতে আমরা সাহায্য করেছি।’
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে যৌথ ভাবে বুকার পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছিলেন মার্গারেট অ্যাটউড তাঁর ‘দ্য টেস্টামেন্টস’ উপন্যাস এবং বার্নাডিন এভারিস্তো তাঁর ‘গার্ল, উওম্যান, আদার’ বইটির জন্য।