দেশের কোভিড টাস্ক ফোর্সের চেয়ারম্যান ডঃ এনকে অরোরা সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ইমিউনোকম্প্রোমাইজড রোগীদের জন্য অতিরিক্ত কোভিড ভ্যাকসিন ডোজ সংক্রান্ত একটি বিস্তৃত নীতি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তৈরি করা হবে। নীতির রূপরেখা তৈরি করবে জাতীয় টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশন। পাশাপাশি দেশের ৪৪ কোটি শিশুকে টিকা দেওয়ার বিষয়েও আলোচনা হবে। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কমোর্বিডিটি থাকা শিশুদের প্রথমে ভ্যাকসিন দেওয়া হতে পারে বলে জানান ডঃ এনকে অরোরা।
ওমিক্রনের উত্থানের আবহে বহু দেশেই বয়স্কদের জন্য ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে। সেই বিষয়ে ডঃ অরোরাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, প্রাপ্তবয়স্কদের বুস্টার ডোজ দেওয়া মানে ৯৪ কোটি ডোজ দিতে হবে আরও। তিনি বলেন, ‘রাতারাতি এটা করা সম্ভব নয়।’ তিনি অবশ্য জোর দিয়ে দাবি করেন যে দেশে টিকার ডোজের কোনও অভাব নেই।
দেশে এখনও ১২ থেকে ১৫ কোটি মানুষ টিকার প্রথম ডোজও পাননি। ৩০ কোটির বেশি মানুষ দ্বিতীয় ডোজ পাননি। এই আবহে সরকার এদের টিকাকরণ সম্পন্ন করার বিষয়ে অগ্রাধিকার দেবে বলে জানান ডঃ অরোরা। এছাড়া টিকাকরণের ক্ষেত্রে দেশের মহামারী সংক্রান্ত অবস্থা বিবেচনা করা দরকার বলেও তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা অপেক্ষা করছি৷ নতুন ভ্যারিয়েন্টের উপর কোভ্যাক্সিন, কোভিশিল্ড এবং অন্যান্য ভ্যাকসিনগুলির কার্যকারিতা বিষয়ে পরীক্ষা চলছে৷ সেই পরীক্ষার ফল এলে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে এবং আমরা বুঝতে পারব যে কোন পথে আমাদের এগোতে হবে৷’