এবার সীমান্ত এলাকায় পরিকাঠামো উন্নয়নের উপর বিরাট জোর দিল ভারত। মূলত সীমান্তে সংযোগকারী রাস্তাগুলির উন্নয়নের উপর বিশেষভাবে জোর দেওয়া হচ্ছে। এজন্য় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে প্রায় ৬০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ১১টি এলাকায় এই প্যাকেজ অনুসারে কাজ করা হবে। ভারত, তিব্বত, চিন, মায়ানমার সীমান্ত এলাকায় এই পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ করা হবে।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, ১৭৪৮ কিমি দুই লেনের হাইওয়ের কাজ শুরু হবে। চলতি বছরে এপ্রিল মাস থেকে এই কাজ শুরু হতে পারে। আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকা থেকে ২০ কিমি দূরে এই জায়গা। এখানেই হাইওয়ে তৈরির কাজ শুরু হবে বলে খবর।
রাজ্য় পূর্ত দফতর, বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন, ও ন্যাশানাল হাইওয়ে অ্য়ান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন এই নির্মাণকাজ করবে। বিভিন্ন পর্বে এই কাজ হবে বলে খবর।
ওই প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, এই আর্থিক বছরের শেষ দিকেই অরুণাচল প্রদেশে প্রায় ৪০০ কিমি রাস্তা তৈরির কাজের প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। গোটা উত্তর পূর্ব জুড়েই এই ধরনের সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় রাস্তা তৈরির কাজ হবে। এর জেরে স্থানীয় অনেকের কাজের সুযোগও হতে পারে।
ফ্রন্টিয়ার হাইওয়ের দুটি প্যাকেজে টাকা অনুমোদন প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নীতীন গড়করি জানিয়েছেন, সীমান্ত এলাকায় যোগাযোগ বৃদ্ধি করার জন্য় এই রাস্তা তৈরি করা হবে। এর জেরে ওই এলাকায় অর্থনৈতিক উন্নয়নও হবে।
সূত্রের খবর দুই লেনের রাস্তা তৈরি হবে অরুণাচলে। এর জেরে একদিকে যেমন সাধারণ গাড়ি চলাচল করতে পারবে তেমনি সেনার গাড়িও যাতায়াত করতে পারবে। এমনকী মন্ত্রী জানিয়েছেন, একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নদী অববাহিকার মধ্য়ে সংযোগ বৃদ্ধি পাবে, সেই সঙ্গেই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ক্ষেত্রেও বিরাট উন্নতি হবে।
এদিকে চিন সংলগ্ন সীমান্ত এলাকায় পরিকাঠামো উন্নয়নের উপর এর আগেও জোর দিয়েছিল ভারত। মূলত সীমান্ত এলাকায় পরিকাঠামো উন্নয়ন হলে সুরক্ষার বিষয়টিও অনেকটাই নিশ্চিত করা যায়।