প্রথম ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে গান্ধীর সবরমতী আশ্রমে পা রেখে ইতিহাস গড়লেন বরিস জনসন। এদিন দুই দিনের সফরে ভারতে এসে প্রথমেই বরিস যান সবরমতী আশ্রমে। সেখানে তিনি বেশ কিছুক্ষণ কাটান। চরকাও কাটেন বরিস। সেখানে তাঁকে গান্ধীর লেখা অপ্রকাশিত একটি বইও উপহার দেওয়া হয় আশ্রম কর্তৃপক্ষের তরফে। উল্লেখ্য, ভারতের স্বাধীনতার পর কোনও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গুজরাতেই পা রাখেননি। সেখানে বরিস আজ গান্ধীর আশ্রমে যান এবং গান্ধীর নীতির প্রশংসা করেন।
নিজের লন্ডনবাসের অভিজ্ঞতা সম্বিলিত করে ‘গাইড টু লন্ডন’ নামক একটি বই লিখেছিলেন মহাত্মা গান্ধী। তবে সেই বইটি কোনও দিনই প্রকাশিত হয়নি। সেই বইটি আজ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল। এদিকে আরও একটি বই দেওয়া হয় বরিসকে। সেটি হল গান্ধী অনুগামী ব্রিটিশ নাহরিক ম্যাডেলিন স্লেডের লেখা ‘দ্য স্পিরিটস পিলগ্রিমস’। উল্লেখ্য স্লেড ভারতপন্থী ছিলেন।
এদিকে মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতি বিজড়িত সবরমতী আশ্রমে গিয়ে চরকাও কাটেন বরিস জনসন। পাশাপাশি ‘ভিসিটরস বুকে’ বিশেষ বার্তাও লিখলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। বরিস জনসন এদিন লেখেন, ‘এই অসাধারণ মানুষটির আশ্রমে আসা একটা বিশাল বড় সৌভাগ্যের বিষয়। পাশাপাশি তিনি কীভাবে বিশ্বকে উন্নত করার জন্য সত্য ও অহিংসার এত সহজ নীতিগুলিকে সংগঠিত করেছিলেন তা বুঝতে পারার জন্য এই আশ্রমে আসা উচিত।’
উল্লেখ্য, বরিস জনসন আজ সকালে আহমেদাবাদে এসে পৌঁছান। তাঁকে সেখানে স্বাগত জানান গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল এবং রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রত। তাঁকে স্বাগত জানাতে রাজ্যের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও মন্ত্রীরাও উপস্থিত ছিলেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে বিমানবন্দরে ঐতিহ্যবাহী গুজরাতি নৃত্য ও সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।