শুধু উপ-মুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলট নন, মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে পুলিশ। এমনটাই দাবি করছে রাজস্থান সরকার। যদিও সেই নোটিশকে হাস্যকর বলে উড়িয়ে দিয়েছেন পাইলটের ঘনিষ্ঠ বিধায়করা।
রাজস্থানের উপ-মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ এক নেতা বলেন, ‘এরা অপমানের বিষয়টিকে ভিন্ন পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে। উনি (পাইলট) শনিবার একটি ফোন পান যে ওরা (রাজস্থান পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখার স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ) ওই নোটিশ পাঠিয়েছে এবং চলে গিয়েছে। এভাবে কি একজন উপ-মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ব্যবহার করা হয়?’
কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীকেও তো নোটিশ পাঠানো হয়েছে, তাহলে? ওই নেতা বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর অধীনে স্বরাষ্ট্র দফতরও রয়েছে। তাহলে তাঁকে কীভাবে প্রশ্ন করতে পারে তারা (স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ)? এগুলি সব কু-মতলব, কারণ এফআইরের ফলে তারা উপ-মুখ্যমন্ত্রীর উপর নজরদারির সুযোগ পেয়ে যাবে।’
চলতি সপ্তাহান্তে রাজ্যে পাইলটের অনুপস্থিতি নিয়ে এমনিতেই সরগরম হয়েছে রাজনীতি। অধিকাংশের ধারণা, রাজস্থানে কংগ্রেসের সরকার পতন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। পাইলটের সঙ্গে কমপক্ষে ১৯ জন বিধায়কও রয়েছেন বলে খবর।
তবে পাইলট যে রাজস্থানে নেই, সেকথা প্রথম সামনে আসে গত শুক্রবারের পর। সেদিন সন্ত্রাস দমন শাখার (এটিএস) তরফে একটি এফআইআর দায়ের করা হয় যে গেহলট সরকারকে ফেলার ষড়যন্ত্র চলছে। সেই এফআইআরের ভিত্তিতে পাইলটের বাসভবনে নোটিশ পাঠানো হয় এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয়।
তারপর থেকেই জল্পনা ছড়িয়েছে, কংগ্রেস ছাড়তে চলেছেন ২০১৮ সালে রাজস্থান জয়ের অন্যতম কাণ্ডারী পাইলট। আর সেই নাটকের অঙ্ক যত প্রকাশ্যে আসছে, তত শুরু হচ্ছে রিসর্ট নাটক। বিশস্ত সূত্রের খবর, পাইলটের সমর্থনে থাকা বিধায়করা গুরুগ্রামেের আইটিসি গ্র্যান্ড ভারত-সহ একাধিক রিসর্টে রয়েছেন। যে রিসর্টে কর্নাটক সরকারে টালবাহানার সময়ও বিধায়কদের রাখা হয়েছিল। তবে পাইলট কোথায় আছেন, তা স্পষ্ট নয়। শনিবার দিল্লিতে থাকলেও আপাতত তিনি কোথায় রয়েছেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। তার জেরে জল্পনা ক্রমশ বাড়ছে।