এক অনলাইন গেমিং চক্রের ফাঁদে পড়ে এক বালককে ধর্মপরিবর্তনের টোপ দেওয়া হয়েছিল। এমনই অভিযোগে নভি মুম্বইয়ের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদে। অভিযোগ, এক নাবালককে অনলাইন গেমিংয়ের মধ্য দিয়ে বলা হচ্ছিল পর পর পদক্ষেপে অনলাইনে এগোতে ও অন্য ধর্ম গ্রহণ করে ফেলতে। ঘটনাটি ঘটে গাজিয়াবাদের এক ব্যবসায়ীর ছেলের সঙ্গে।
ছেলের মুখে ঘটনার কথা জানতে পেরেই পুলিশের দ্বারস্থ হন ব্যক্তি। জানা গিয়েে, ওই নাবালককে বিভিন্ন টোপ দিয়ে ফাঁসানো হচ্ছিল। অনলাইন গেমিংয়ের মাধ্যমে ওই ব্যক্তির সঙ্গে ওই বালকের সাক্ষাৎ হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবারই ঘটনার জেরে এফআইআর দায়ের করা হয়। অভিযোগে, ওই নাবালকের পরিবার জানিয়েছে। তাঁরা তাঁদের ছেলের মধ্যে বেশ কয়েকটি স্বভাবগত পরিবর্তন দেখতে পেয়েছেন। তখনই তাঁদের সন্দেহ হয়। তারপরই ওই বালকের মোবাইল ও ল্যাপটপ ঘেঁটে তাঁরা দেখতে পান অন্য ধর্মের নানান পুস্তক ও সামগ্রী তাতে ডাউনলোড করা হয়েছে। কোনও সময় নষ্ট না করে পুলিশের দ্বারস্থ হন ব্যবসায়ী।
( মণিপুর হিংসার তদন্তে নয়া প্যানেল গঠনের ঘোষণা শাহের, কমিটির নেতৃত্বে কে ?)
পুলিশকে ওই ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, ছেলের গতিবিধিতে সন্দেহ হতেই তিনি ছেলে কোথায় কোথায় যাচ্ছে, সেদিকে নজর রাখতে থাকেন। ছেলের পিছু নিয়ে দেখতে পান যে সে অন্য ধর্মের প্রার্থনাস্থলে যাতায়াত শুরু করেছে। জিমে যাওয়ার নাম করে সে ওই কাণ্ড ঘটাচ্ছে সকলের অলক্ষ্যে। ব্যবসায়ী বলছেন, ওই প্রার্থনাস্থলে ‘নিয়মিত ধর্মীয় আচার শুরু করেছিল আমার ছেলে’। তিনি বলছেন, ‘আমরা যখন তাকে জিজ্ঞাসা করি, সে বলেছে আমি অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছি।’ পুলিশ জানিয়েছে, সদ্য ও নাবালক দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা দিয়েছে। তার বয়স ১৭। পুলিশ জানাচ্ছে, ওই বালক তার পরিবারকে হুমকিও দিয়েছে যে, ওই নির্দিষ্ট ধর্মের প্রার্থনাস্থলে তাকে যেতে না দেওয়া হলে সে বাড়ি ছেড়ে ওই ধর্মের ধর্মীয় স্থলে বসবাস শুরু করবে। এদিকে, পুলিশ তদন্ত শুরু করতেই মহারাষ্ট্র থেকে ১ জনকে ও গাজিয়াবাদের এক ধর্মীয় স্থানের কেয়ারটেকারকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানাচ্ছে, তদন্তে প্রমাণ মিললেই ধ-তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup