মহারাষ্ট্রের সাউদার্ন কমান্ড হাসপাতালে যখন ওই তরুণীকে নিয়ে আসা হয়েছিল তখন তাঁর ব্রেনের মৃত্যু হয়ে গিয়েছে। চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দেখেন যে তাঁর ব্রেনে জীবনের কোনও লক্ষণ নেই আর। এরপর ওই তরুণীর পরিবার সিদ্ধান্ত নেয় তাঁরা ওই তরুণীর অঙ্গ দান করতে চান। ডিফেন্স পিআরও জানিয়েছেন, যাঁদের অত্যন্ত প্রয়োজন তাঁদেরকেই ওই তরুণীর অঙ্গদান করা হবে বলে রাজি হয়েছিলেন পরিবার।
এরপর আর দেরি করেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কমান্ড হাসপাতালের ট্রান্সপ্লান্ট টিম দ্রুত সক্রিয় হয়ে যায়। জোনাল ট্রান্সপ্লান্ট কো-অর্ডিনেশন সেন্টরেও খবর দেওয়া হয়। এরপর ১৪ জুলাই দুজন সেনা জওয়ানের শরীরে মৃত তরুণীর কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়। পুনের রুবি হল ক্লিনিকে এক মহিলার শরীরে লিভার প্রতিস্থাপন করা হয়। চোখ দুটিকে আই ব্যাঙ্কে সংরক্ষণ করা হয়। এরপর সেগুলি নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে প্রদান করা হয়।
সব মিলিয়ে পাঁচজন তাঁর অঙ্গে নতুন জীবন ফিরে পেয়েছেন। তরুণীর পরিবারের এই মহানুভবতার জন্য কৃতজ্ঞ সকলেই। স্বর্গে মানব অঙ্গের কোনও কাজে লাগে না। এই পৃথিবীতেই তা নতুন জীবন দেয়। সেই বার্তাকেই যেন নতুনভাবে প্রতিষ্ঠা করলেন ওই তরুণী। দুই সেনা সহ পাঁচজনের মধ্যে বেঁচে থাকবেন ওই তরুণী।