রবিবার ১ জানুয়ারি ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বভাগ গ্রহণ করলেন লুলা দা সিলভা। এদিকে লুলার শপথগ্রহণের আগেই দেশ ছাড়েন সদ্য প্রাক্তন হওয়া জাইল বলসোনারো। জানা গিয়েছে, তিনি ফ্লোরিডায় গিয়েছেন। এরই সঙ্গে প্রথা ভেঙে নতুন প্রেসিডেন্টের শপথগ্রঙণ অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকলেন বলসোনারো। সমর্থকদের প্রতি ব্রাজিলের প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের বার্তা, 'এখনও যুদ্ধে হারিনি।' এর আগে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলেছিলেন বলসোনারো। তবে তাঁর কাছে প্রমাণ ছিল না। এরই মাঝে তিনি অরল্যান্ডোতে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ডিজনি ল্যান্ডের খুব কাছেই একটি বাড়ি আপাতত এক মাসের জন্য ভাড়া নিয়েছেন তিনি।
এর আগে গত অক্টোবরে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে জিতে তৃতীয়বারের জন্য ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হন লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। এই নির্বাচনে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো পান ৪৯.১ শতাংশ ভোট। এদিকে জয়ী লুলা পান ৫০.৯ শতাংশ ভোট। ব্রাজিলে এই প্রথম কোনও প্রার্থী প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন নির্বাচনে হেরে যান। প্রসঙ্গত, নির্বাচনের বহু আগে থেকেই ব্রাজিলের ইলেক্ট্রনিক ভোটিং সিস্টেমের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন বলসোনারো। এই আবহে বিগত কয়েক দশকের রীতি ভেঙে প্রেসিডেনশিয়াল স্যাশ নয়া প্রেসিডেন্টের হাতে তুলে দিলেন না বলসোনারো। তাঁর বিরুদ্ধে এখন নানা অভিযোগের তদন্ত শুরু হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই আবহে বলসোনারো কবে দেশে ফেরেন, তা নিয়ে কৌতূহল অনেকের।
এদিকে এর আগে ২০০৩ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট ছিলেন লুলা। এরপর ২০১৮ সালে দুর্নীতির দায়ে জেলবন্দি হয়েছিলেন লুলা। যদিও পরবর্তীকালে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রমাণ করা যায়নি। এর জেরে গত নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি লুলা। তবে ২০২২ সালে তিনি নির্বাচনে জিতে দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন তৃতীয়বারের জন্য। ২ অক্টোবর ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ওই ভোটে লুলা পান ৪৮ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট। বলসোনারো পান ৪৩ দশমিক ৩ শতাংশ। তবে নিয়ম অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি হতে ন্যূনতম ৫০ শতাংশ ভোট পেতে হয়। এই আবহে দ্বিতীয় পর্বের ‘রানঅফ’-এ মুখোমুখি হন লুলা এবং বলসোনারো। সেই রানঅফ-এ জিতে যান লুলা।