এখনও আফগানিস্তান থেকে পুরোপুরি সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেনি আমেরিকা। এরই মধ্যে দেশের প্রায় ৮৫ শতাংশ এলাকা নিজেদের দখলে নিয়ে নেওয়ার দাবি করল তালিবানরা। তালিবানি দখলে যাওয়া অঞ্চলের মধ্যে ইরান সীমান্ত লাগোয়া গুরুত্বপূর্ণ এলাকাও রয়েছে। জানা গিয়েছে, তালিবানের আসার খবর পেয়ে ইরান সীমান্তে ইসলাম কালা কাস্টমস অফিসের কর্মকর্তা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর অসংখ্য সদস্য সীমান্ত অতিক্রম করে ইরানে পালিয়ে গেছে।
এদিন আফগানিস্তানে নিজেদের প্রভাব বি্তারের বিষয়ে মস্কোতে জানান তালিবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লা মুজাহিদ। উল্লেখ্য, এর কয়েক ঘণ্টা আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছিলেন যে ১১ সেপ্টেম্বর নয়, বরং ৩১ অগাস্টেই সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে আমেরিকা। এদিকে জানা গিয়েছে আফগানিস্তানের ৩৪ প্রদেশের ৩৯৮টি জেলার মধ্যে অন্তত ২৫০টি জেলা তালিবানরা নিজেদের দখলে নিয়ে নিয়েছে। এদিকে কাবুলে স্থিত আফগান সরকারের দাবি, তালিবানদের পিছউ হঠাতে লড়াই চালাচ্ছে সেনা।
ইতিমধ্যেই আফগানিস্তানের বিভিন্ন আঞ্চলের রাজধানীগুলিতে আক্রমণ শুরু করেছে তালিবান। গত সপ্তাহেই মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনী বাগরাম বিমান ঘাঁটি ছেড়ে দিয়ে চলে গেছে। এই বিমানঘাঁটিই ছিল তালিবান বিরোধী অপারেশনের কমান্ড সেন্টার। এর জেরে আফগান সেনারা যে বিমান বাহিনীর সাহায্য পেত, তা এখন অনেক কমে গিয়েছে। ফলে তালিবানের পক্ষেও এলাকা দখলের কাজটা অপেক্ষাকৃতভাবে সহজ হচ্ছে।
এই আবহে সম্প্রতি তালিবান আক্রমণের মুখে পড়ে ২৮০ জন আফগান সেনা তাজিকিস্তান চলে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, তাজিক বর্ডার গার্ড বিনা বাধায় আফগান সেনাদের সীমান্ত পার করে তাজিকিস্তানে আশ্রয় নিতে দেয়। প্রসঙ্গত, এর আগে এক মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেনা প্রত্যাহার করা হলে তালিবান ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করবে। পরিস্থিতি যেদিক এগোচ্ছে, তাতে এই রিপোর্ট সত্যি হওয়া সময়ের অপেক্ষা বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।