সম্পর্ক ছিন্ন করা বা বিয়ে করতে অস্বীকার করা আত্মহত্যায় প্ররোচনা নয়। সম্প্রতি একটি মামলার শুনানিতে এমনই রায় দিয়েছে বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চ। আদালত বলেছে, একজনকে শুধুমাত্র একজন মহিলাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করার কারণে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা যাবে না। এই মন্তব্য কর বিচারপতি উর্মিলা যোশী ফালকের একক বেঞ্চ অভিযুক্তকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। উল্লেখ্য, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারায় মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রেমিকার সঙ্গে ব্রেকআপ, অবসাদে মশা মারার তেল খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা যুবকের
বুলধানার একটি মামলা নিয়ে আদালতে শুনানি চলছিল। মামলার বয়ান অনুযায়ী ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২০ সালের ডিসেম্বরে। মহারাষ্ট্রের বুলধানায় এক তরুণী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন। তথ্য অনুযায়ী, অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে তাঁর ৯ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু, যুবক তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। ঘটনায় তরুণীর বাবা যুবকের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি অভিযোগে বলেছিলেন, অভিযুক্ত তাঁর মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কারণে তিনি আত্মঘাতী হয়েছিলেন। আত্মহত্যা করার আগে, মেয়েটি তাঁর সুইসাইড নোটে উল্লেখ করেছিল যে যুবক তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেছিল। সেই কারণে মানসিক অবসাদে তিনি এমন পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছিলেন।
আদালত জোর দিয়ে বলেছে, এমন কোনো প্রমাণ নেই যে তিনি তরুণীকে কোনওভাবে যুবক আত্মহত্যার জন্য উস্কানি দিয়েছিলেন। ১৫ জানুয়ারি দেওয়া রায়ে আদালত বলেছে, তদন্তে কোথাও দেখা যায়নি যে অভিযুক্ত কখনও মৃত ব্যক্তিকে আত্মহত্যা করতে প্ররোচিত করেছে। প্রমাণ দেখায় যে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পরে নির্যাতিতার সঙ্গে তিনি ক্রমাগত যোগাযোগ করতেন। ওই যুবক তাঁর সঙ্গে কথা বলতেন। তাই, কেবলমাত্র আবেদনকারী তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করার কারণে যে আত্মহত্যা করতে প্ররোচিত করেছেন সেই রকম কোনও উপাদান নেই।
উল্লেখ্য, প্রথমে এই মামলায় অভিযুক্ত জামিনের জন্য দায়রা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তবে আদালত তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। পরে তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। অভিযুক্তের আইনজীবী যুক্তি দিয়ে বলেন, ব্রেকআপের পরেও দু'জন কথা বলা চালিয়ে গিয়েছেন।