করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ট্রেনের কোচে হাওয়া চলাচলের প্রক্রিয়ায় বদল আনল রেল। এবার অপারেশন থিয়েটারের ধাঁচে সব বাতানুকূল ট্রেনেই মুক্ত বাতাস প্রবেশ করানো হবে বলে জানিয়েছেন রেল কর্তারা।
গত ১২ মে থেকে ১৫ জোড়া বিশেষ রাজধানী এক্সপ্রেসে সেই প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামিদিনে জাতীয় পরিবহন সংস্থার সব বাতানুকূল ট্রেনেই সেই প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে রেলের আধিকারিকরা বলেন, 'অপারেশন থিয়েটারের মতো রুফ মাউন্টেড এস প্যাকেজ ইউনিট (আরএমপিইউ) প্রক্রিয়ায় এসি কোচে ঘণ্টায় ১৬-১৮ বার বাতাস বদল করা হবে।'
আগে ঘণ্টায় ছয় থেকে আটবার সেই বাতাস পালটানো হত এবং তার মধ্যে ৮০ শতাংশ বাতাস কোচের মধ্যে রিসার্কুলেট করা হত। অর্থাৎ কোচের মধ্যেই ঘুরপাক খেত। বাকি ২০ শতাংশ ছিল মুক্ত বাতাস। করোনা পরিস্থিতিতে সেই প্রক্রিয়ায় সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। সেজন্য নয়া পদ্ধতি চালু করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রেল কর্তারা।
তবে নয়া প্রক্রিয়ার ফলে ১০-১৫ শতাংশ বিদ্যুৎ খরচ বাড়বে। এক রেল কর্তা বলেন, যাত্রীদের সুরক্ষার জন্য সেই মূল্য চোকাতে হবে। এটা নিউ নর্মাল। এসি ঘুরপাক খাওয়া বাতাসকে ব্যবহার করে, তাই দ্রুত শীতল হয়। যখন আমরা ফুরফুরে হাওয়া ব্যবহার করব, তখন বাড়তি বিদ্যুৎ খরচ হবে।'
করোনা পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যে যাবতীয় সুরক্ষাবিধি অবলম্বন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছন রেল কর্তারা। এসির তাপমাত্রা ২৩ থেকে বাড়িয়ে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস করা হয়েছে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যাবতীয় নির্দেশিকা মেনে ট্রেন চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী, ঘণ্টায় কমপক্ষে ১২ বার পুরোপুরি হাওয়া পালটানো হলে সেন্ট্রালাইজড এসি ব্যবহার করা যাবে বলে জানিয়েছেন রেল কর্তারা।
তবে এসির মাধ্যমে করোনা ছড়িয়ে পড়া নিয়ে এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও গবেষণা হয়নি। শুধুমাত্র চিনের একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, এসির ভেন্টিলেশনের মাধ্যমে ড্রপলেট ছড়িয়ে পড়ে।