শেষবার দুই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মুখোমুখি সাক্ষাৎ হয়েছিল ২০১৯ সালে ভারতের মহাবলীপুরমে। মাঝে পার হয়েছে ৫ টা বছর। পার হয়েছে গালওয়ান অধ্যায়। আর ২০২৪ সালে দুই নেতার সাক্ষাৎ হল রাশিয়ার কাজানে। ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে, বুধবার নরেন্দ্র মোদী ও শি জিনপিং বসেন বৈঠকে। লাদাখ সংঘাত পরবর্তী সময়ে এই বৈঠক কূটনৈতিক দিক থেকে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। বৈঠক নিয়ে মুখ খুলেছে বিদেশমন্ত্রক।
মোদী-জিনপিং বৈঠকের পর দিল্লির তরফে বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, ভারত ও চিনের মধ্যে স্ট্র্যাটেজিক ও দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক পর্যালোচনা করেছেন দুই রাষ্ট্রনেতা। এছাড়াও স্থানীয় শান্তি রক্ষার্থে এবং বিশ্বশান্তি ও সমৃদ্ধি রক্ষার জন্য দুই নেতা স্থায়ী সম্পর্কের পক্ষে সহমত পোষণ করেছেন। এছাড়াও বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, সীমান্তে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখাই দ্বপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথ। ভারতের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, দুই পক্ষের সরকারি আধিকারিকরাই স্ট্র্যাটেজিক সংযোগ বাড়াতে পদক্ষেপ করবে। এক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমেসম্পর্ক স্থিতিশীল রাখার কথা বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং রাষ্ট্রপতি শির মধ্যে ব্রিকসের হাত ধরে এই মঞ্চ, ফলপ্রসূ বিষয় আদানপ্রদানের ও সহযোগিতার একটি জায়াগা ছিল বলে জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। এই বৈঠকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, আশ্বস্ত করেছেন, পরের বছর আয়োজিত হতে চলা সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনে চিনকে সম্পূর্ণ সমর্থন করতে চলেছে ভারত।
(Kalipuja 2024: ৫১ সতীপীঠে দেবীর কোন অঙ্গ কোথায় পড়েছিল? কালীঘাট থেকে কঙ্কালীতলার মাহাত্ম্য দেখে নিন )
এর আগে, চিনের তরফে সেদেশের প্রেসিডেন্ট বলেন, চিন ও ভারতের সংযোগ, সহযোগিতা মজবুত করা প্রয়োজন। এএফপির রিপোর্ট অনুযায়ী, শি জিনপিং বলেন, 'চিন ও ভারতের উচিত যোগাযোগ ও সহযোগিতা জোরদার করা।' এদিকে, চিনের তরফে সেদেশের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, ‘বেশ কিছু তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়ে সহমত সহমতে পৌঁছানো গিয়েছে। ভারতের সঙ্গে সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষায় আমরা কাজ করব।’