প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর দ্বিতীয় বিয়ে করতে চেয়েছিলেন পাত্র। তার জন্য বিয়ের যাবতীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল একটি মন্দিরে। পাত্র-পাত্রী দুজনেই বসেছিলেন বিয়ের পিঁড়িতে। ঠিক সেই সময় ঘটল বিপত্তি। মাঝপথে আচার অনুষ্ঠান থামিয়ে শৌচালয়ে যাওয়ার নাম করে পালিয়ে গেল পাত্রী। আর সঙ্গে নিয়ে গেল গহনা ও নগদ কয়েক হাজার টাকা। সেখানে তন্নতন্ন করে খুঁজেও আর পাওয়া যায়নি পাত্রীকে। এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের সিতাপুর জেলায় গোবিন্দপুর গ্রামে। সেখানে ভারোহিয়ার শিব মন্দিরে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। তবে ঘটনায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।
আরও পড়ুন: বিয়ে নিয়ে কী পরিকল্পনা দিতিপ্রিয়ার? 'মন দিয়ে করলে…', বছরের শুরুতেই চমক নায়িকার
জানা গিয়েছে, পাত্রের নাম কমলেশ কুমার। তার প্রথম স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছিল বেশ কয়েক বছর আগে। তাই পরিবারের মুখের দিকে তাকিয়ে দ্বিতীয় বিয়েতে রাজি হয়েছিলেন। আর সেই মতোই দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন তিনি। কিন্তু, দ্বিতীয়বার বিয়ের স্বপ্ন অধরা থেকে গেল তার। জানা যায়, বিয়ে ঠিক করার জন্য এক দালালকে ৩০ হাজার টাকা কমিশন দিয়েছিলেন। পুলিশ জানায়, এই ঘটনায় এখনো কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে সংবাদ মাধ্যমের সামনে নিজের অভিযোগ জানান কমলেশ। অভিযোগ অনুসারে, শুক্রবার পাত্রী তার মায়ের সঙ্গে বিয়ের জন্য মন্দিরে এসেছিলেন। কমলেশও তার পরিবারের সঙ্গে মন্দিরে গিয়েছিলেন।
কমলেশ অভিযোগ করেছেন, তিনি পাত্রীকে শাড়ি, সৌন্দর্য পণ্য এবং গয়না দিয়েছেন। তাছাড়া বিয়ের যাবতীয় খরচ ইতিমধ্যেই তিনি বহন করছেন। সেই মতো আনুষ্ঠান শুরু হওয়ার সঙ্গেসঙ্গে কনে শৌচালয়ে যাওয়ার পর তিনি আর ফিরে আসেননি। শুধু কনেই নন, তাঁর মা'ও নিখোঁজ হয়ে যান। বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েও তাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। শেষ পর্যন্ত বিয়ে অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়।
কমলেশ বলেন, ‘আমি শুধু আমার পরিবারের দিকে তাকিয়ে বিয়ে করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত সবকিছু হারিয়ে ফেলেছি।’ দক্ষিণের পুলিশ সুপার জিতেন্দ্র কুমার বলেছেন, স্থানীয় থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে কেউ অভিযোগ করলে বিষয়টি তদন্ত করা হবে। জানা যায়, কমলেশ পেশায় একজন কৃষক। তাঁর দাবি, তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন।