বিয়ে নিয়ে প্রতিটি মানুষেরই কিছু না কিছু ইচ্ছা থাকে। বিয়ের সিদ্ধান্ত জীবনভরের। ফলে সঠিক সঙ্গী বাছাই করা এক্ষেত্রে জরুরি বলে মনে করেন অনেকেই। আবার অনেকে প্রেমে ভেসে গিয়ে শুধু আবেগকে সামনে রেখে একটা গোটা জীবন কাটিয়ে ফেলার স্বপ্ন দেখেন। যৌবন থেকে বার্ধক্যের প্রতিটি অধ্যায় হাতে হাত মিলিয়ে একযোগে এগিয়ে যাওয়ার মধ্যে অনেকেই অ্যাডভেঞ্চার খুঁজে পান। এদিকে, সদ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। সেখানে পাত্রপাত্রী বাছাই নিয়ে এক ম্যাট্রিমোনিয়াল বিজ্ঞাপন উঠে এসেছে।
যে পোস্টটি ভাইরাল হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, জনৈক পাত্রীর জন্য পাত্র খোঁজা হচ্ছে। আর সেই পাত্রীর উপযুক্ত বরের যোগ্যতা সম্পর্কে একটি বিস্তারিত তথ্য দেওয়া রয়েছে এই বিজ্ঞাপনে। সেখানে সাফ লেখা রয়েছে দেশের ‘টিয়ার ওয়ান’ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পাশ না করলে সেই ব্যক্তিকে পাত্রীর যোগ্য স্বামী হিসাবে বেছে নেওয়া হবে না। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় যে নামগুলি দেওয়া রয়েছে, পাত্রকে সেখান থেকেই পাশ করতে হবে, এমনটাও লেখা রয়েছে। সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- আইআইটি হায়দরাবাদ, দিল্লি, বেঙ্গালুরু। আইআইএম হলে তা দিল্লি, কলকাতা, লখনউ, বেঙ্গালুরু, ইন্দোর, কোঝিকোড হতে হবে। এছাড়াও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, বিটস পিলানি, আইআইএসসি বেঙ্গালুরু সহ দেশের নামী প্রতিষ্ঠানের কোনও একটি থেকে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন হতে হবে ব্যক্তিকে। এখানেই শেষ নয়, পাত্রের বেতন বার্ষিক ৩০ লাখ হতে হবে, তার কমে হলে চলবে না। দিল্লি এনসিআর এলাকায় থাকতে হবে। এছাড়াও কর্পোরেট সেক্টরেই কাজ করতে হবে।
এহেন পাত্রের চাহিদা দিয়ে এই পাত্র পাত্রী বিজ্ঞাপনের পোস্ট ভাইরাল হতেই তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। বহু নেটিজেন বলছেন, এমন বিজ্ঞাপন দিয়ে স্বামী ‘নিয়োগ’ করার চেষ্টা চলছে বলে মনে হচ্ছে। এদিকে, ওই বিজ্ঞাপনে দাবি করা হয়েছে, বেশি ভাইবোন থাকলে সেই পাত্র বিয়ের জন্য ওই পাত্রীর উপযুক্ত নয়। খুব জোর দুই ভাইবোন রয়েছেন, এমন পরিবারেই পাত্রীকে বধূ হিসাবে দেখতে রাজি তাঁর পরিবার। এমন বিজ্ঞাপনে অনেকেই দেশের নামী প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ নিয়েও মশকরা শুরু করেছেন। তবে আবার অনেকেই বলছেন, কে কেমন স্বামী বেছে নেবেন, তা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। তাতে কারোরই খোঁচা দেওয়া অপ্রয়জনীয়। এদিকে, বিবাহযোগ্য সন্তানের পাত্র বা পাত্রী খুঁজতে বহু পরিবারেই উদ্বেগের কমতি হয়না। তবে এমন পাত্রের দাবি ঘিরে চলছে বেশ চর্চা।