বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে ঘটে গেল ভয়ঙ্কর কাণ্ড। রক্তে ভেসে গেল অনুষ্ঠান বাড়ি। খাবার না পসন্দ হওয়ায় তর্কাতর্কি। আর তার জেরে শেষ পর্যন্ত বিয়ে বাড়িতে চলল গুলি। বরের এক আত্মীয়কে গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠল কনের কাকার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার উত্তরপ্রদেশের কাসগঞ্জ জেলার সাহাওয়ার এলাকার রোশন নগর গ্রামে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: দত্তপুকুর কাণ্ডে ধৃত পালাতে চেয়েছিল পাকিস্তানে, সীমান্তের পাহারা দেখে সাহস হয়নি!
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম অরুণ কুমার (৩২)। হাথরাসের সিকান্দ্ররাওয়ের বাসিন্দা। তিনি বরযাত্রীর সঙ্গে কনের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে বরপক্ষকে খাবার পরিবেশন করা হয়। কিন্তু, খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অরুণ। তিনি অভিযোগ করেন, যে খাবার ঠিকমতো রান্না হয়নি, তাছাড়া স্বাদও ভালো হয়নি। এই অভিযোগ শোনার পর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে কনের কাকা। দুজনের মধ্যে তুমুল তর্কাতর্কি শুরু হয়। সেই সময় আগ্নেয়াস্ত্র বের করে সকলের সামনেই অরুণের মাথায় গুলি করে বিজয়। ঘটনায় সঙ্গেসঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন অরুণ। তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, তাকে বাঁচানো যায়নি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায় বিয়ে বাড়িতে।
সাহাওয়ার ডেপুটি পুলিশ সুপার শাহিদা নাসরিন বলেন, এই ঘটনায় কনের কাকা বিজয় কুমারের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।অবৈধ ৩১৫ বোরের আগ্নেয়াস্ত্র বের করে সকলের সামনে অরুণের মাথায় গুলি করা হয়েছে। মৃতের ভাই ললিত বলেন, বিয়ের অনুষ্ঠানের পরে খাবার খাওয়ার সময় অরুণ মন্তব্য করেছিলেন যে খাবার ঠিকমতো রান্না করা হয়নি এবং মানও ভালো ছিল না। তাই নিয়ে বচসার জেরে তার দাদাকে গুলি করে খুন করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রুমাল সিংয়ের মেয়ের বিয়ে হচ্ছিল। বাড়িতেই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পরেই এই কাণ্ড ঘটে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিএনএসের ১০৩ ধারায় খুনের একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। খুনের জন্য ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। ঘটনার আরও তদন্ত করছে পুলিশ।