উদ্বোধনের ঠিক কয়েক দিন আগে ভেঙে পড়ল নব নির্মিত ব্রিজ। ঘটনা বিহারের আরারিয়া জেলার। সেখানে ৭.৭৯ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করা হয়েছিল ব্রিজটি। ব্রিজের এমন ভেঙে পড়ার করুণ চিত্র নানান ভিডিয়োর মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ার আসে। তা নিয়ে তুঙ্গে চলে আলোচনা। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, ওই ব্রিজের একাংশ হঠাৎই ভেঙে পড়ছে। আর ওই অংশ ভাঙতেই নদীর বুকে বিলীন হয়ে যায়। বিহারের বাকরা নদীর বুকে এই কাণ্ড ঘটে। ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
স্থানীয় বিজেপি সাংসদ প্রদীপ কুমার সিং এবং বিজেপি বিধায়ক বিজয় মণ্ডল এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং অপরাধীদের চিহ্নিত করতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, ১৮২.৬৫ মিটারের ব্রিজ ভাঙার পর তার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে নদীর জল। ব্রিজ ভেঙে পড়ার পর শুধু দাঁড়িয়ে থাকে, ব্রিজের জন্য তৈরি স্তম্ভগুলি। প্রশ্ন উঠছে, সরকারি টাকায় তৈরি এই ব্রিজ কীভাবে ভাঙল তা নিয়ে। কারা এই ব্রিজের তত্ত্বাবধানে ছিল? এই প্রশ্ন উঠতেই থাকছে। উল্লেখ্য, ৭.৭৯ কোটি টাকা খরচ করে বানানো এই ব্রিজ ভাঙায় কোনও হতাহতের খবর নেই। যা অত্যন্ত স্বস্তির বার্তা। প্রশাসন বলছে ব্রিজ চালু না হওয়ায় হতাহতের খবর নেই। তবে ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, ব্রিজটি কী ভয়ানকভবে ভেঙেছে।
আরারিয়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (ডিএম) ইনায়েত খান ফোনে এইচটি-কে জানিয়েছেন যে সেতুটি ধসের কারণ খুঁজে বের করার জন্য একটি প্রযুক্তিগত দলকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। ‘এ্যাপ্রোচ রোড সম্পূর্ণ না হওয়ায় এটি চালু ছিল না, তাই কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি,’ তিনি বলেন। বিহারের পল্লী পূর্ত দফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী আশুতোষ কুমার বলেন, ‘তদন্তের পর ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি ঘটনার নেপথ্যে বাকরা নদীর গতিপথের ঘন ঘন পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘কিছু দিন আগে স্থানীয়রা সেতুর দুই পিলারের মাঝখানে নদীর গতিপথ পরিবর্তনের চেষ্টাও ব্রিজ ভাঙার কারণ হতে পারে।’ আরারিয়ার কুরুক্ষেত্র ব্লক ও সিক্তি ব্লকের হাজার হাজার মানুষের সাধারণ জীবনের একটি বড় দিক হল এই ব্রিজ। স্থানীয়রা বলছেন,'সেতুটি নির্মিত হলে আরারিয়া ও কিষাণগঞ্জের মধ্যে দূরত্ব কমবে।'