লাদাখ সীমান্তে যে অস্থিরতা চলছে, সেখানে আসল পরিস্থিতি কি, অতিরিক্ত পয়েন্ট কিছু থাকলে, রাজনৈতিক দলের নেতাদের আলাদা করে জানাতে রাজনাথ সিংকে আর্জি জানালেন রাজ্য সভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু।
বৃৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় চিন নিয়ে সরকারের বিবৃতি পড়ে শোনান রাজনাথ সিং। তারপর উপ রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু বলেন যে তাঁর একটা পরামর্শ আছে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর প্রতি। তিনি যদি রাজি থাকেন, তাহলে তাঁর অফিসে যেন কিছু রাজনৈতিক দলের নেতাদের ডেকে চিন ইস্যুতে অতিরিক্ত তথ্য শেয়ার করেন, রাজনাথকে এই আর্জি জানান নাইডু।
জাতীয় গুরুত্বেই এই ইস্যুতে বিরোধী ও শাসকের মধ্যে দূরত্ব ঘোচানোর চেষ্টা করেন বেঙ্কাইয়া নাইডু। রাজ্যসভার চেয়ারপার্সন বলেন যে সমস্ত রাজনৈতিক নেতারা আমাদেরই লোক। দেশের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিয়ে সবাই জানতে চান ও আসল পরিস্থিতি কি সেটা তাদের জানা উচিত।
এদিন রাজ্যসভা থেকে ঐক্যের বার্তাও দেন তিনি। নাইডু বলেন যে ভারত বসুদেব কুটুম্বকমে বিশ্বাসী। কোনও দেশকে আক্রমণ করে না সে। চিনের ইস্যুকে সংবেদনশীল বলে বর্ণনা করে তিনি বলেন যে সীমান্তে সেনারা লড়ছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিস্তারিত ভাবে ইস্যুটি বুঝিয়ে বলেছেন। তবুও আন্তর্জাতিক ম্যাগাজিনে আসছে যে ভারত বিভাজিত এই ইস্যুতে বলে অভিযোগ করেন তিনি। নাইডু বলেন সংসদ থেকে যেন একটা বার্তা দেয় যে সবাই সৈনিকদের পাাশে আছে।
লোকসভায় রাজনাথের বক্তব্যের পর কোনও প্রশ্ন করার সুযোগ না থাকলেও রাজ্যসভায় কয়েকজন প্রশ্ন করেন এদিন। কিন্তু এরপরেও প্রতিটি দলের ফ্লোর লিডারদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার কোনও বৈঠক রাজনাথ করেন কি না, সেটাই দেখার।
বিরোধী দলের এক নেতা জানিয়েছেন এই সংক্রান্ত সরকার পক্ষের সঙ্গে তাদের প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। তবে কোনও সিদ্ধান্তের আগে আরও বিস্তারিত আলোচনার প্রয়োজন আছে বলে তিনি জানান।