ব্রেক্সটি ইস্যুতে নির্বাচন লড়ে বড় জয় পেলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এক্সিট পোলকে সত্যি প্রমাণ করে সহজেই জিতল বরিসের কনসারভেটিভ পার্টি। অন্যদিকে নিজেদের দুর্গও রক্ষা করতে ব্যর্থ জেরিমি করবিনের লেবার পার্টি। নিজের আসন জিতলেও সাধারণ নির্বাচনে হার স্বীকার করে নিয়েছেন জেরিমি করবিন। তিনি জানিয়েছেন যে আগামী নির্বাচনে লেবার দলের নেতা হবেন না তিনি। অন্যদিকে এই রায়ের ফলে ব্রেক্সটের পথ সুগম হবে, দেশে একতা আসবে বলে প্রতিক্রিয়া বরিস জনসনের।
৬৫০ আসনের মধ্যে ৩৬৮ আসন জিতেছে টরিরা। আগের বারের থেকে ৬৬ বেশি। বহু লেবার গড়েও সিঁধ কেটেছে রক্ষণশীল টরিরা। যারা প্রথমবার টরিদের ভোট দিলেন, তাঁদের বিশেষ করে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি জনসন। তাঁদের সমর্থনকে কখনো হেলাফেলা করবে না টরিরা, বলে তিনি জানান। অন্যদিকে ভাঙা হাট লেবারের। গত বারের থেকে ৪২ আসন কম পেয়েছে তারা। চলছে দোষারোপের পালা।
১৯৩৫ সালের পর সবচেয়ে খারাপ ফল লেবার পার্টির। তবে এখনই দলের দায়িত্ব ছাড়তে চান না করবিন। যোগ্য ব্যক্তির হাতে দায়িত্ব সঁপে তিনি সরবেন, এমনই জানিয়েছেন তিনি।
বাকিদের মধ্যে আগের থেকে কিছুটা ভালো করেছে এসএনপি। ১৩টি আসন বাড়িয়ে তাদের ট্যালি ৪৮ ।সম্পূর্ণ ভরাডুবি হয়েছে লিবারেল ডেমোক্র্যাটদের।২১ থেকে ১১ তে নেমে গিয়েছে তারা।
টেরেসা মে-র পর প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন বরিস জনসন। কিন্তু কিছুতেই ব্রেক্সিট সংক্রান্ত বিল তিনি পাশ করাতে পারছিলেন না। এর জন্যই ফের নতুন করে জনাদেশ নেবেন বলে নির্বাচন ডাকেন তিনি। মানুষ দুই হাত তুলে তাঁকে আশীর্বাদ করেছে এবার। দ্বিতীয় রেফারেন্ডম হবে না, এদিন সেটা মানুষ সাফ করে দিয়েছেন বলে জনসনের অভিমত। ৩১ জানুয়ারীর মধ্যেই ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া শেষ করবেন বলে জানিয়েছেন জনসন।
নিজের আসন জেতার পর বরিস জনসন বলেন এই মুহূর্তে মনে হচ্ছে সারা দেশই কনসারভেটিভ দলকে ম্যান্ডেট দিচ্ছে ব্রেক্সিট করার জন্য। শুধু ব্রেক্সিটই নয়, সারা দেশকে এক করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বার্তা এই জনাদেশ বলে জানিয়েছেন বরিস।
এটিকে ঐতিহাসিক নির্বাচন বলে তিনি জানান, মানুষের গণতান্ত্রিক ইচ্ছাকে সম্মান জানিয়ে দেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যেতে হবে। জয় সুনিশ্চিত হলে আজ থেকে ফের কাজে লেগে যাবেন বলে জানিয়েছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
জনসনের জয় সুনিশ্চিত হওয়ার পরেই শুভেচ্ছা জানান নরেন্দ্র মোদী।
কাশ্মীর প্রসঙ্গে ভারত বিরোধী অবস্থানের জন্য এবার করবিনের বিরুদ্ধে গিয়েছিলেন অসংখ্য ভারতীয়-ব্রিটিশ নাগরিক। হাউজ অফ কমনসে যদিও সম সংখ্যক ভারতীয় বংশোদ্ভূত নির্বাচিত হয়েছেন লেবার ও কনজারভেটিভ দল থেকে। মোট ১৫জন জিতেছেন। তার মধ্যে দুই প্রধান দল থেকে সাতজন করে ভারতীয় বংশোদ্ভূত নির্বাচিত হয়েছেন।