দীর্ঘ ৪৭ বছর সদস্য তালিকার শীর্ষস্থান দখল করে রাখার পরে শুক্রবার আনুষ্ঠানিক ভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গ ছাড়ল ব্রিটেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে চরম জাতীয়তাবাদী ভাবাবেগ রোখার উদ্দেশে নির্মিত ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে এই প্রথম কোনও সদস্য দেশ নিজেকে প্রত্যাহার করল। ব্রিটেনের এই সিদ্ধান্তকে ‘তিক্তমধুর’ বলে বর্ণনা করেছেন আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী লিও ভারাডকার-সহ একাধিক রাষ্ট্রনেতা।

২০১৬ সালের গণভোটের পরে যে টানাপড়েনের সূত্রপাত, এ দিন ব্রেক্সিট ডে-এর হাত ধরে তার অবসান ঘটাল ব্রিটেনের বরিস জনসন সরকার। এর জেরে বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে কী প্রভাব পড়তে চলেছে, সে দিকেই আপাতত নজর রেখেছেন ব্রিটেনবাসী ব্যবসায়ী ভারতীয়রা।
এ দিন উত্তর ইংল্যান্ডের সান্ডারল্যান্ডে এক বৈঠকের মাধ্যমে সরকারি ভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ ঘোষণা করে ব্রিটিশ মন্ত্রিসভা। উল্লেখ্য, ব্রেক্সিট-এর পক্ষে দেশের এই অঞ্চল থেকেই সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছিল। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এক বার্তায় জানান, ‘আজ রাতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যা বলতে চাই তা হল, এ কোনও সমাপ্তির সিদ্ধান্ত নয় বরং শুভারম্ভের সূত্রপাত। এই সেই সময় যখন ভোর হয় এবং নতুন দিনের পর্দা ওঠে। এ হল সেই মুহূর্ত, যখন খাঁটি জাতীয় পুনর্নবীকরণ ও পরিবর্তনের উন্মেষ ঘটে।’

ইউরোপীয় ইউনিয়নে টিকে যাওয়ার প্রবক্তা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনও জানান, ‘এ দিন আমাদের দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে সিদ্ধান্ত ব্রিটেন নিয়েছে, চলুন আজ তা সফল করার শপথ নেওয়া হোক।’
ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পক্ষে যিনি তীব্র সওয়াল করে এসেছেন, ব্রেক্সিট পার্টির নেতা সেই নাইজেল ফ্যারাডে জানিয়েছেন, ‘শেষ পর্যন্ত সেই দিনটি এল যখন আমরা মুক্ত হলাম। প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মানুষের এ এক বিরাট জয়।’