প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তা গ্রহণ করলেন তিনি। সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর জানালেন, তা ভারত-ব্রিটেন সম্পর্কে নয়া যুগের প্রতীক হবে।
মঙ্গলবার ডাউনিং স্ট্রিটের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়, গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার জন্য নয়া বছরের জানুয়ারিতে ভারত সফরে যাবেন জনসন। যা সমগ্র ব্রিটেন কর্মসংস্থান এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার পর প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরের মাধ্যমে ‘গ্লোবাল ব্রিটেন’-এর লক্ষ্যে যাত্রা শুরু হবে। কারণ আগামী বছর জি-৭ সম্মেলন-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের আয়োজন করবে ব্রিটেন। সেই জি-৭ বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য ভারতকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন জনসন।
সেই ঘোষণার আগেরদিনই ভারত সফরে এসেছেন ব্রিটেনের বিদেশসচিব ডমিনিক রাব। মঙ্গলবার ভারতের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক সারেন তিনি। পরে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে ভারতের বিদেশমন্ত্রী জানান, ভারত এবং ব্রিটেনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে অন্য পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আফগানিস্তানের পরিস্থিতি, প্রাচ্যে উন্নয়ন, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিও চার ঘণ্টার বৈঠকে উঠে এসেছে। সন্ত্রাসবাদ এবং মৌলবাদ নিয়েও আলোচনা করেছেন তাঁরা।
এমনিতে প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে আগেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ১৯৯৩ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জন মেজর প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সবমিলিয়ে পাঁচটি ক্ষেত্রে কোনও ব্রিটিশ নেতা ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি ছিলেন। ষষ্ঠ নেতা ও দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সেই 'অভাবনীয় সম্মান' পাচ্ছেন জনসন। যা ভারত-ব্রিটেন সম্পর্কে নয়া যুগের প্রতীক হবে বলে জানিয়েছেন জয়শংকর।