ভারত- পাকিস্তান সীমান্তের কাছেই একটি সারসের পায়ে লাগানো ডিভাইস। গ্রামবাসীদের হাতে ধরা পড়ে সেই সারসটি। কিন্তু এটি কি গুপ্তচর বৃত্তির জন্য় কাজে লাগানো হয়েছিল?গ্রামবাসীরাই বিএসএফ ও স্থানীয়দের এনিয়ে জানিয়েছিলেন। তবে তদন্ত করে বিএসএফ বুঝতে পারে আসলে এটি ওয়াইল্ড লাইফ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা ব্যবহার করেছিলেন।
গুজরাত বিএসএফ জানিয়েছে, WII জানিয়েছে তাদের দুজন ছাত্র সারস নিয়ে গবেষণা করছেন। তারাই ওই পাখিটি ছেড়েছিলেন। এরপর পুলিশ ওই গবেষকদের খবর দেয়। তাঁরা পাখিটি নিয়ে যায়। তাঁরা জানিয়েছে এর সঙ্গে গুপ্তচরের কোনও ব্যাপার নেই।
এই পাখির সাংকেতিক নাম লোথাল। কয়েকমাস আগে নাল সরোবরে ছিল। তার সঙ্গে স্য়াটেলাইট ট্যাগ লাগানো ছিল।কীভাবে এগুলি কাজাকিস্তান থেকে নাল সরোবরে আসে সেটাই দেখতে চেয়েছিলেন গবেষকরা।
এদিকে গবেষকরা জানিয়েছেন, চারটি সারসকে ট্যাগ লাগিয়ে ছাড়া হয়েছিল। বাকি তিনটি রাশিয়া চলে গিয়েছে। কিন্তু একটি পাখি থেকে যায়। এটিকে নিয়মিত ট্র্যাক করতেন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি এটি গুজরাতে ভাভ তালুকায় ছিল। এরপর দিন দশেক আগে এটি উড়ে বার্মারে চলে যায়।
এদিকে বিজ্ঞানী ডঃ আর সুরেশ কুমার বলেন, আমরা ভেবেছিলাম এটা এবার হয়তো রাশিয়া উড়ে যাবে। কিন্তু সেটা যায়নি। কেন এটা হল সেটাও দেখছেন বিজ্ঞানীরা। স্থানীয় সারসদের সঙ্গেই এটি থেকে গিয়েছে। বিজ্ঞানীদের দাবি এটি অক্টোবরে গুজরাতে এসেছিল। মার্চে ফিরে যাওয়ার কথা। কিন্তু সেটা গেল না কেন? ভাবাচ্ছে বিজ্ঞানীদের।