শুরু হয়েছে পাকিস্তান থেকে। তার শেষ হয়েছে ভারতে। জম্মু ও কাশ্মীরের সাম্বা সেক্টরে এমনই একটি সুড়ঙ্গের খোঁজ পেল বিএসএফ। এলাকায় আর কোনও সুড়ঙ্গ আছে কিনা, তার খোঁজে ইতিমধ্যে বড়সড় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
শুক্রবার সেই সুড়ঙ্গের হদিশ পায় বিএসএফের একটি টহলদারি দল। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, সুড়ঙ্গটির দৈর্ঘ্য প্রায় ২০ ফুট এবং তিন-চার ফুট চওড়া। যাতে কারোর নজরে না পড়ে, সেজন্য সুড়ঙ্গের মুখে পাকিস্তানের তৈরি বালির বস্তা ছিল। তাতে শকরগঢ়/করাচি লেখা ছিল। আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে মোটামুটি ১৭০ মিটার দূরে এক স্থানীয় চাষির খেতে সুড়ঙ্গের মুখ আছে।
বিএসএফের তরফে স্পষ্টতই পাকিস্তানের দিকে আঙুল তোলা হয়েছে। ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশ করানোর জন্য পাকিস্তান যে চেষ্টা করেছিল, তাও কড়া ভাষায় জানানো হয়েছে। পরে জম্মু বিএসএফের আইজি এনএস জামোওয়াল, পাকিস্তানের মদতেই সুড়ঙ্গটি খোঁড়া হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘বালির বস্তায় পাকিস্তানের ছাপ আছে। তা থেকে স্পষ্ট যে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই সুড়ঙ্গ খনন করা হয়েছিল। পাকিস্তানি রেঞ্জার্স ও অন্যান্য এজেন্সির অনুমোদন ও মদত ছাড়া এত বড় সুড়ঙ্গ তৈরি করা যাবে না।’
আপাতত সুড়ঙ্গের কাছে কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। মোতায়েন আছেন বিএসএফ জওয়ানরা। এক শীর্ষ পুলিশকর্তা বলেন, ‘সাম্বা জেলার আন্তর্জাতিক সীমান্তের ব্যাঙ্গলার্ড এলাকায় একটি আন্তঃসীমান্ত সুড়ঙ্গের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। সীমান্তের কাঁটাতার থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডের ৫০ মিটার পর্যন্ত এসেছে সেটি। এখন তা খতিয়ে দেখছে বিএসএফ। সুড়ঙ্গটির উৎস ও দিক খুঁজতে ঘটনাস্থলে খনন করবে তারা।’
তিনি জানিয়েছেন, জমির প্রায় ২৫-৩০ ফুট গভীর পর্যন্ত সুড়ঙ্গ খোঁড়া হয়েছিল। সুড়ঙ্গের মুখ থেকে প্রায় ১০ টি বালির বস্তা পাওয়া গিয়েছে। তাতে তৈরি ও ব্যবহারের শেষ তারিখ লেখা আছে।