ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ২০০ টি ড্রোন ধরা পড়েছে বিএসএফের হাতে। মনে করা হচ্ছে, মাদক ও অস্ত্র সরবরাহের কোনও পাকিস্তানি চক্র এর নেপথ্যে রয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই, বিএসএফকে উদ্ধৃত করে, দাবি করেছে, ভারতে অশান্ত করতেই এমন পদক্ষেপ। যাতে ভারতে সামাজিক বিচ্ছেদ তৈরি হয়, তা উস্কে দিতেই এমন ড্রোনের আনাগোনা ভারতের পঞ্জাবের পাকিস্তান সীমান্তে।
এক বিবৃতিতে বিএসএফ জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় তারা ৪ টি ড্রোন পাকড়াও করেছে। যার ফলে পাকিস্তান থেকে আসা এপর্যন্ত মোট বিএসএফের হাতে পাকড়াও করা ড্রোনের সংখ্যা দাঁড়াল ২০০টি। ভারতের পশ্চিম সীমান্তের ২,২৯০ কিলোমিটার পাহারা দেয় বিএসএফ। পাঞ্জাবের ৫৩৩ কিলোমিটার এলাকা তারমধ্যে রয়েছে। এই সীমান্ত, আন্তর্জাতিক সীমান্ত (IB) নামেও পরিচিত। জম্মু (জম্মু ও কাশ্মীরে)থেকে রাজস্থান এবং গুজরাটের মধ্য দিয়ে গিয়েছে এই সীমান্ত। বিএসএফ জানিয়েছে যে তারা ২০২৩ সালে পাঞ্জাব সীমান্তে ১০৭টি ড্রোন আটক করেছে, যা এই বছর প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এই পরিমাণ ড্রোন পাকড়াওকে 'উল্লেখযোগ্য ল্যান্ডমার্ক' বলে উল্লেখ করেছে বিএসএফ। বিএসএফ বলছে, এই পরিমাণ ড্রোনকে ধরে ফেলা উল্লেখ্য মাইলস্টোন। সীমান্ত জুড়ে অ্যান্টি ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিএসএফ। এছাড়াও নানান প্রযুক্তির সাহায্যে এগিয়ে চলে বিএসএফ। সেনা, ড্রোন-বিরোধী কৌশলগুলিকে তীব্র করেছে। পাকিস্তানি মাদক পাচারগোষ্ঠীকে বড় ধাক্কা দিয়ে এই ড্রোন বিরোধী স্ট্র্যাটেজি সেট করেছে সেনা। উল্লেখ্য, ভারতের ভূখণ্ডের মধ্যে ড্রোন মারফৎ মাদক ও অস্ত্র পরিবহণ করে ভারতের যুবকদের মধ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী মনোভাব উস্কে দেওয়ার চেষ্টা সীমান্ত পার থেকে হচ্ছে। যাতে ভারতে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়।
একজন সিনিয়র বিএসএফ অফিসার পিটিআইকে বলেছেন, যে চলতি বছর ২০০-এর বেশি ড্রোন আটকানো হয়েছে। তার মধ্যে অনেকগুলিকে বিএসএফ জওয়ানরা গুলি করে নামিয়েছে। অন্যন্যগুলিকে মাঝ আকাশেই অ্যান্টি ড্রোন প্রযুক্তি দিয়ে রুখে দেওয়া হয়েছে। তবে কিছু ড্রোনকে উদ্ধার করা হয়েছে, যা গোয়েন্দাদের তথ্য পেতে সাহায্য করবে। ওই অফিসারের দাবি, যে ড্রোন উদ্ধার হয়েছে, তার বেশিরভাগই হল চিনের তৈরি। যারা অস্ত্র, মাদক নিয়ে বেড়ায়।