জম্মু–কাশ্মীরের মাছিল সেক্টরে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে শহিদ হলেন ত্রিপুরার এক জওয়ান। নিহত বিএসএফের কনস্টেবল সুদীপ কুমারের বাড়ি ত্রিপুরার ধলেশ্বরে। আর তাঁর দুই মেয়ে ও স্ত্রী রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে। সোমবার সকালে বাড়িতে ফোন করে সুদীপের দাদা দীপঙ্কর কুমারকে ওই দুঃসংবাদ দিয়েছেন বিএসএফ আধিকারিকেরা।
জানা গিয়েছে, ৮ নভেম্বর ভোররাতে কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলার মাছিল সেক্টরে টহলদারিতে ব্যস্ত ছিলেন সুদীপ। তখনই নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল জঙ্গিদের একটি দল। তা চোখে পড়তেই অনুপ্রবেশ আটকানোর চেষ্টা করেন সুদীপ ও বিএসএফের অন্য জওয়ানরা। পাল্টা জওয়ানদের নিশানা করে গুলি ছুড়তে শুরু করে জঙ্গিরা। তখনই জঙ্গিদের গুলিতে গুরুতর আহত হন সুদীপ।
গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যান সুদীপ কুমার। রবিবার রাতে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলে গুলির লড়াই। তার মধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন বিএসএফের ওই কনস্টেবল, এক অফিসার–সহ মোট ৪ জন। পাল্টা গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ৩ জঙ্গির। উল্লেখ্য, ত্রিপুরার বাসিন্দা সুদীপ কুমার সম্প্রতি পঞ্জাব থেকে বদলি হয়েছিলেন শ্রীনগরে।
সুদীপ কুমারের নিহত হওয়ার খবরে ত্রিপুরা জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। টুইট করে শোকজ্ঞাপন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেব। মঙ্গলবার দুপুরে শহিদ বিএসএফ জওয়ান সুদীপ কুমারের দেহ আগরতলায় আনা হবে। তাঁর দাদা দীপঙ্কর কুমার জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।