পঞ্জাবের ফিরোজপুর ফ্লাইওভারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কনভয় ১৫ থেকে ২০ মিনিট আটকে থাকা নিয়ে দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়। এই ইস্যুতে নিরাপত্তায় গাফিলতি নিয়ে পঞ্জাব সরকার ও কেন্দ্রের মধ্যে বহু মন্তব্য ও পাল্টা মন্তব্য উঠতে শুরু করে। এরই মাঝে পঞ্জাবের ফিরোজপুরের কাছে একটি জলাশয়ে এক পাকিস্তানি নৌকা উদ্ধার হয়েছে। ফলে স্বভাবতই জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।
পঞ্জাবের ডিটি মল বর্ডার চেক পয়েন্টের কাছে বিএসএফ এর ১৩৬ ব্যাটালিয়ান পেট্রোলিং শুরু করে। সেই সময়ই ওই নৌকাটি উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। খবর, পাকিস্তান-পঞ্জাবের মাঝে আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে এই নৌকা উদ্ধার হয়েছে। এমনই জানিয়েছেন এক বিএসএফ অফিশিয়াল। বিএসএফএ র তরফে সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলা হয়েছে, 'শীতকালে গভীর কুয়াশাতে এই এলাকা আচ্ছন্ন থাকে। যখন নৌকাটি উদ্ধার হয়, তখন ওই এলাকায় একটি তল্লাশি অভিযান চলানো হয়। স্থানীয় গ্রামের মানুষদের বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করা হয়। কোনও সন্দেহজনক কিছু পেলে জানাতে বলা হয়। এই ধরনের নৌকোতে মাদক জাতীয় জিনিস বা অস্ত্র পাচার হয়ে থাকে আন্তরার্জাতিক সীমানায়।' উল্লেখ্য, পঞ্জাবের সীমানায় এর আগেও একাধিক নিরাপত্তা বিষয়ক ইস্যু সামনে আসে। এর আগে , বহুবার পাকিসাকন লাগোয়া পঞ্জাব সীমান্তে সন্দেহজনক ড্রোন উড়তে দেখা যায়। সেই দিক থেকে ফিরোজপুর একটি সংবেদনশীল জায়গা। সেই জায়গাতে এমন নৌকা উদ্ধারের ঘটনা শিরোনাম কাড়ছে। বিশেষত, যখন পঞ্জাবের ফিরোজপুর ফ্লাইওভারেই নরেন্দ্র মোদীর কনভয় আটকে যায়, তারপরই এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
এর আগে বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফর ছিল পঞ্জাবের ফিরোজপুরে। তবে ফ্লাইওভারে প্রধানমন্ত্রীর কনভয়ের সামনে কিছু বিক্ষোভকারী চলে আসেন বলে অভিযোগ। মূলত, প্রধানমন্ত্রী যে রাস্তা ধরে যান, সেই পথে এমন ঘটনা নিরাপত্তার গাফিলতি নিয়ে রীতিমতো আলোচনা চলছে দেশজুড়ে। ফ্লাইওভারে কী ঘটেছিল, তা নিয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ নরেন্দ্র মোদীকে ডেকে পাঠিয়ে গোটা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন ও অবহিত হন। এরপর ফিরোজপুরে এই পাকিস্তানি নৌকা উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।