এবার ৫জি পরিষেবা আনছে বিএসএনএল। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় যোগাযোগমন্ত্রী এনিয়ে বড় ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, জুন থেকে কাজ শুরু হবে। ৪জি থেকে ৫জি রূপান্তরের। কিন্তু কবে থেকে ঠিক ৫জি পরিষেবা পাওয়া যাবে সেটা অবশ্য় এখনও পরিষ্কার নয়।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, ৪জি টাওয়ারগুলিতে সফটওয়ার ও হার্ডওয়ার কিছু আপডেট করলেই তা ৫জি পরিষেবা দেওয়ার উপযোগী হয়ে যাবে। তিনি জানিয়েছেন, কয়েকমাসের মধ্য়েই সারা দেশে এক লক্ষের বেশি ৪জি টাওয়ার বসানো হয়ে যাবে। ইতিমধ্য়েই ৮৯ হাজারের বেশি বসেছে। ফলে মে-জুনের মধ্য়ে বাকি টাওয়ার বসার পরেই প্রযুক্তিগতভাবে সেগুলিকে উন্নত করার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
মানি কন্ট্রোলের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, ২০২৫ সালের জুন মাস থেকে ৪জি টাওয়ারগুলিকে ৫জি টাওয়ারে উন্নীত করার কাজ করা হতে পারে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, ১ লাখ সাইটের মধ্য়ে ৮৯,০০০ ইতিমধ্য়েই হয়েছে। সিঙ্গল সেল ফাংশান টেস্ট প্রসেস চলছে। ৭২,০০০ সাইটে। ১০০,০০০ সাইটকে কার্যকরী করা হবে মে-জুন মাসে। এরপর মোটামুটি জুন মাসের পর থেকে ৪জিগুলোকে ৫জিতে বদলানোর কাজ করা হবে।
তিনি জানিয়েছেন ৪জি থেকে ৫জিতে উন্নীত করার জন্য অতিরিক্ত হার্ডওয়ার( বিটিএস), সফটওয়ার আপগ্রেড করতে হবে।
তিনি জানিয়েছেন, ভারত এখন ৪জি টেকনোলজি উন্নত করার ক্ষেত্রে পঞ্চম দেশ। চিন, দক্ষিণ কোরিয়া,ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের সঙ্গেই। দেশিয় টেলিকম ইকোসিস্টেম তৈরির ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শিতার ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য। জুন মাসের পরবর্তীক্ষেত্রে আমরা এটাকে ৫জিতে উন্নীত করব। টেলিকম টেকনোলজি এক্সপোর্টার হিসাবে ভারতের স্থানকে ৫জিতে উন্নীত করার কাজ করে যাব।
গত বছরের জুলাই মাসের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, বাজেটে টেলিকম সেক্টরের জন্য বরাদ্দ করা মোট ১.২৮ লক্ষ কোটি টাকার মধ্যে সরকারি মালিকানাধীন ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেডকে (বিএসএনএল) ৮২,৯১৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন তাঁর বাজেট বক্তৃতায় বিএসএনএল এবং এমটিএনএল উভয়ের জন্য একসঙ্গে ১ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। বিএসএনএলের বেশিরভাগ তহবিল সংস্থার প্রযুক্তিগত আপগ্রেড এবং পুনর্গঠনের জন্য ব্যবহার করা হবে।
‘বিই (বাজেট এস্টিমেট) ২০২৪-২৫ সালে এই চাহিদার জন্য মোট নেট বরাদ্দ ১,২৮,৯১৫.৪৩ কোটি টাকা (১,১১,৯১৫.৪৩ কোটি টাকা এবং ১৭,০০০ কোটি টাকা)। বাজেট নথিতে বলা হয়েছে, ইউনিভার্সাল সার্ভিস অবলিগেশন ফান্ডের অধীনে উপলব্ধ ব্যালেন্স থেকে ১৭,০০০ কোটি টাকার অতিরিক্ত বিধান পূরণ করা হবে এবং টেলিকম পরিষেবা সরবরাহকারীদের ক্ষতিপূরণ, ভারতনেট এবং গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ব্যবহার করা হবে।’
BSNL এবং MTNL সহ টেলিযোগাযোগ বিভাগের (DoT) কর্মচারীদের পেনশন সম্পর্কিত ব্যয়ের জন্য, বাজেটে ১ এপ্রিল, ২০১৪ থেকে ১৭.৫১০ কোটি টাকা বরাদ্দের বিধান করা হয়েছে। এমটিএনএল সম্পর্কিত বন্ডের মূল পরিমাণ পরিশোধের জন্য সরকার ৩,৬৬৮.৯৭ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছে।
বাজেটে টেকনোলজি ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট প্রোমোশনের জন্য ৩৪.৪৬ কোটি টাকা, চ্যাম্পিয়ন সার্ভিস সেক্টর স্কিমের জন্য ৭০ কোটি টাকা এবং প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেনটিভ স্কিমের জন্য ১,৮০৬.৩৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
টেলিকম সম্পর্কিত সরঞ্জামগুলির দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধি করতে এবং আমদানিকে নিরুৎসাহিত করতে, সীতারামন মাদারবোর্ডগুলিতে আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন, যা প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড (পিসিবি) নামেও পরিচিত। দেশীয় উৎপাদনকে উৎসাহিত করতে নির্দিষ্ট টেলিকম সরঞ্জামের পিসিবিএ (প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড অ্যাসেম্বলি) এর বিসিডি (বেসিক কাস্টমস ডিউটি) ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।