আগামী বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে 5G পরিষেবা চালু করার ক্ষেত্রে পদক্ষেপ করতে পারে বিএসএনএল। আশ্বাস দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তিনি জানিয়েছেন, আগামী মে বা জুনের মধ্যে এক লাখ টাওয়ার বসানোর পরিকল্পনা করেছে বিএসএনএল। আর সেই টাওয়ার বসানোর কাজ শেষ হয়ে গেলে কয়েকটি ফাইভ-জি প্রযুক্তিতে রূপান্তরিত করা হবে। তাঁর কথায়, 'আমরা সেই কাজটা করার (ফাইভ-জি পরিষেবা চালু করা) লক্ষ্যে ভালোমতোই এগিয়ে চলেছি। আমি আশা করছি যে বিএসএনএল ফের নিজের পায়ে উঠে দাঁড়াবে।'
‘নিজের পায়ে দাঁড়াচ্ছে BSNL’
শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন যে আর্থিক দিক থেকেও ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএসএনএল। দীর্ঘমেয়াদী বৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলেছে বিএসএনএল। তাঁর কথায়, 'পুনরুজ্জীবনের পথে এগিয়ে চলেছে বিএসএনএল। ভারতের মতো দেশে তিন-চারটি মোবাইল অপারেটর থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।' সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নিজের পায়ে খাড়া হচ্ছে বিএসএনএল।’
দ্বিগুণ হয়েছে 'অপারেটিং প্রফিট', জানালেন মন্ত্রী
আর কীভাবে বুঝতে পারছেন যে বিএসএনএল ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, সেটার স্বপক্ষে পরিসংখ্যানও পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, গত তিন-চার বছরে টেলিকম সংস্থার আয় বেড়েছে ১২ শতাংশ। ওই সময়ের মধ্যে ব্যয় দু'শতাংশ কমে গিয়েছে। ২০২১ সাল থেকে লাভ 'সবুজ' থাকবে। ২০২১ সালে বিএসএনএলের 'অপারেটিং প্রফিট' ছিল ১,১০০ কোটি টাকা। যা এখন দ্বিগুণ হয়ে ২,৩০০ কোটি টাকায় পৌঁছে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: BSNL Data plan: সস্তায় হাই স্পিডে ডেটা দেবে BSNL! 4G নেটওয়ার্ক প্রস্তুত, এবার 5G-র পালা
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, সরকারি মালিকাধীন সি-ডট এবং রেডিয়ো অ্যাকসেস নেটওয়ার্কের মাধ্যমে নিজস্ব ৪জি কোর তৈরি করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল টাটার মালিকাধীন তেজসের। আর টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস (টিসিএস) ছিল সিস্টেম ইন্টিগ্রেটর। ইতিমধ্যে ৬২,০০০ টাওয়ার চালু করা হয়েছে। ভারত বিশ্বের পঞ্চম দেশ, যে দেশের হাতে নিজস্ব ৪জি নেটওয়ার্ক এবং স্ট্যাক আছে। আর আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে এক লাখ টাওয়ারের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে বিএসএনএল ৫জি প্রযুক্তির পথে হাঁটবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: টেলিকম সেক্টরে ১.২৮ লক্ষ কোটি টাকার সিংহভাগ পেল বিএসএনএল, বাজেটে বিরাট বরাদ্দ
BSNL-র দিকে ঝুঁকেছিলেন অনেকে
এমনিতে রিলায়েন্স জিয়ো, ভোডাফোন আইডিয়া, এয়ারটেলের মতো সংস্থা মোবাইল রিচার্জ প্যাকের দাম বাড়ানোর ফলে অনেকেই বিএসএনএলের দিকে ঝুঁকেছিলেন। গত সেপ্টেম্বরে টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (ট্রাই) তরফে যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছিল, তাতে দেখা গিয়েছিল যে রিচার্জ প্যাকের দাম বাড়ানোর পরে জুলাইয়ে তিন টেলিকম অপারেটরই গ্রাহক সংখ্যা কমেছে। আর একমাত্র বিএসএনএলের গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
কিন্তু বিএসএনএলের ক্ষেত্রে মূল সমস্যা হল যে এখনও ৫জি পরিষেবা চালু করা হয়নি। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, জিয়ো, ভোডাফোন আইডিয়া, এয়ারটেলের থেকে পিছিয়ে থাকছে বিএসএনএল। তারাও ৫জি পরিষেবা শুরু করলে আরও লাভবান হবে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের মত।