ত্রিশঙ্কু লড়াইয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কোনও দল। কিন্তু নির্বাচন-পরবর্তী জোটে বাজিমাত করল বিজেপি। গণ সুরক্ষা পার্টি (জিএসপি) এবং ইউনাইটেড পিপলস পার্টি লিবারেলের (ইউপিপিএল) সঙ্গে হাত মিলিয়ে বড়োল্যান্ড স্বশাসিত পরিষদ (বড়োল্যান্ড টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল) দখল করতে চলেছে গেরুয়া শিবির। সেজন্য শুভেচ্ছাও জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এবারের নির্বাচনে পৃথকভাবে লড়াই করেছিল বড়োল্যান্ড পিপলস ফ্রন্ট (বিপিএফ) এবং বিজেপি। বিপিএফ অবশ্য অসমের শাসক দল বিজেপির জোটে আছে। কিন্তু স্বশাসিত পরিষদে রাজ্যপালের শাসন জারির পরই বিপিএফ এবং বিজেপির মধ্যে সম্পর্কে ফাটল ধরে। তার জেরে পৃথকভাবে ভোটে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দু'দল। একে অপরের বিরুদ্ধে আগ্রাসী প্রচার চালিয়েছিল। তাতে সংখ্যার নিরিখে বিপিএফ এগিয়ে থাকলেও শেষ হাসি হেসেছে বিজেপি। ৪০-সদস্যের পরিষদে ১৭ টি আসনে জিতেছেন বিপিএফ প্রার্থীরা। যা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার থেকে চার কম। অন্যদিকে, ইউপিপিএল পেয়েছে ১২ টি আসন এবং বিজেপির ঝুলিতে গিয়েছে ন'টি আসন। এছাড়া কংগ্রেস এবং জিএসপি একটি করে আসনে জিতেছে।
ত্রিশঙ্কু ফলাফলের পর বিজেপিকে হাত মেলানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন বিপিএফ প্রধান হাগরামা মহিলারি। তিনি বলেন, ‘যেহেতু দিসপুরে বিপিএফ রাজ্য সরকারের অংশ, তাই বিটিসিতে সরকার গঠনের জন্য বিজেপিকে সাহায্যের আর্জি জানাচ্ছি। আমরা বিজেপির সঙ্গে জোট ভাঙিনি এবং ওদেরও জোটের নিয়ম মেনে চলা উচিত।’ যদি সেই আর্জিও খারিজ করে দিয়েছে বিজেপি। বরং ইউপিপিএলের সঙ্গে বিজেপি যে পরিষদের চেয়ারপার্সনের পদ দখল করতে চলেছে বিজেপি, তা কিছুক্ষণ পরেই টুইটারে জানিয়ে দেন গেরুয়া শিবিরের সর্বভারতীয় সাধারণ সভাপতি জে পি নাড্ডা।
পরে তাতে চূড়ান্ত সিলমোহর দেন মোদী। পরিষদের ক্ষমতা দখলের জন্য নির্বাচন-পরবর্তী ইউপিপিএল-বিজেপি জোটকে অভিনন্দন জানান। টুইটারে তিনি বলেন, ‘উত্তর-পূর্বের মানুষের সেরা করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এনডিএ। অসমের বড়োল্যান্ড টেরিটোরিয়াল কাউন্সিলের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার জন্য আমাদের ইউপিপিএল এবং বিজেপি জোটকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। মানুষের প্রত্যাশা পূরণের জন্য তাঁদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এনডিএয়ের উপর আস্থা রাখার জন্য মানুষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
জিএসপি, ইউপিপিএলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পরে বিকেলের দিকে অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনেয়াল জানান, ইউপিপিএলের প্রমোদ বড়ো হতে চলেছেন স্বশাসিত পরিষদের নয়া প্রধান। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, ‘বড়োল্যান্ড টেরিটোরিয়াল কাউন্সিলে নয়া সূর্যোদয়’।