ডিভিডেন্ডের উপর চাপানো কর (DDT) তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। শনিবার কেন্দ্রীয় বাজেট ঘোষণায় এই তথ্য জানালেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, DDT তুলে দেওয়ার ফলে ২৫,০০০ কোটি টাকা রাজস্ব হারাবে সরকার। তবে বিনিয়োগ বাড়াতে এই টোটকাই প্রয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।অর্থমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, এবার থেকে প্রাপকদের হাত থেকেই ডিভিডেন্ডের উপরে ধার্য কর আদায় হবে।
Budget 2020: আয়করের হার থেকে নয়া শিক্ষানীতি, একনজরে নির্মলার দ্বিতীয় বাজেট
যদিও সমালোচকদের দাবি, DDT-এর উপর ধার্ষ কর প্রাপকদের হাত থেকে আদায়ের ব্যবস্থা হলে তাঁদের আয়কর স্ল্যাবে যে প্রভাব পড়বে তাতে ঘরোয়া বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নেতিবাচক ফল মিলতে পারে।
বিভিন্ন সংস্থা তাঁদের শেয়ারহোল্ডারদের যা ডিভিডেন্ড দিয়ে থাকে, বর্তমানে তার উপরে সেস ও সারচার্জ-সহ ২০.৩৫% কর ধার্য করে সরকার। এর ফলে বিনিয়োগকারীদের হাতে তুলনায় কম অর্থ পৌঁছয়। DDT তুলে দেওয়ায় এবার ঘরোয়া বাজারে বিনিয়োগের হার বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
Budget 2020 LIVE: শেয়ার বাজারে জারি পতন, ৫৫০ পয়েন্ট নীচে সেনসেক্স
যে সমস্ত সংস্থার ডিভিডেন্ডের উপরে কর চাপানো হয়, তাদের মধ্য়ে রয়েছে টিসিএস, ইনফোসিস, ইন্ডিয়ান অয়েল, ওএনজিসি, হিন্দুস্তান জিঙ্ক, কোল ইন্ডিয়া, এইচডিএফসি, আইটিসি, বেদান্ত, এনটিপিসি, এইচইউএল, বিপিসিএল, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক ও রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের মতো প্রথম শ্রেণির কোম্পানি।
এ ছাড়া উচ্চ ডিভিডেন্ড প্রদানকারী সংস্থাগুলির মধ্যে রয়েছে প্রক্টার অ্যান্ড গ্যাম্বল হেল্থ, গ্র্যাফাইট ইন্ডিয়া, ন্যাশনাল অ্যালুমিনিয়াম কোম্পানি, বেদান্ত, এসজিভিএন, হিন্দুস্তান জিঙ্ক, আরইসি, এনএলসি ইন্ডিয়া, বামা লরি অ্যান্ড কোম্পানি, এনএইচপিসি, ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন, হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন, কোল ইন্ডিয়া, অয়েল ইন্ডিয়াও পিটিসি ইন্ডিয়া।