২০২১-২২ সালের কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করার সময় তাঁর ভাষণে দেশের ‘ব্যাড ব্যাঙ্ক’ এর সংজ্ঞা দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি জানিয়েছেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির অনাদায়ী ঋণ নিয়ন্ত্রণ করতে একটি সম্পদ পুনর্নির্মাণ সংস্থা (Asset Reconstruction Company Limited) এবং একটি সম্পদ ব্যবস্থাপক সংস্থা (Asset Management Company) গঠন করা হবে।
অর্থমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেন, ‘রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি তাদের প্রচণ্ড চাপে থাকা সম্পদ সত্ত্বেও যে হারে ঋণ দিয়ে চলেছে, হিসাব নিখুঁত রাখতে হলে তাতে লাগাম দেওয়া জরুরি। বর্তমান ব্যাঙ্কের অপরিশোধিত ঋণের পরিমাণ নির্দিষ্ট করতে ও তা আদায় করতে এবং পরে সেই সম্পদ বিকল্প বিনিয়োগ তহবিল বা অন্যান্য লগ্নিকারীদের কাছে বিক্রি করার উদ্দেশে একটি সম্পদ পুনর্নির্মাণ সংস্থা এবং একটি সম্পদ ব্যবস্থাপক সংস্থা গঠন করা হবে।’
ব্যাঙ্কিং সেক্টরে অর্থনৈতিক স্থিতাবস্থা আনতে অর্থমন্ত্রীর এই ঘোষণা গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, তাঁর প্রস্তাবিত দু’টি সংস্থা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ব্যালান্স শিট-এর গরমিলের সমাধান করতে এবং ভবিষ্যতে মূলধন সৃষ্টির কাজে সহায়ক হবে।
সোজা কথায়, এর জেরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ঋণ আদায় সমস্যা দূর হবে এবং অনাদায়ী ঋণ প্রকল্প বিনিয়োগকারীদের কাছে কম দামে বিক্রি করার পথ মসৃণ হবে। এ ভাবেই ব্যাঙ্কের হিসাবের গোলমাল দূর হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বর্তমানে অনাদায়ী ঋণ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির মাথাব্যথার বড় কারণ হয়ে উঠেছে। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসের হিসাব বলছে, ব্যাঙ্কের মোট অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ সমগ্র শিল্পঋণের ৭.৫ শতাংশ জুড়ে রয়েছে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পূর্বাভাস, চলতি বছরের মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে এই পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে ১৩.৫ শতাংশে পৌঁছবে। বর্তমানে মোট অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ ৮,৯৯,৮০৩ কোটি টাকা।