সোনা এবং রুপোর আমদানি শুল্ক কমানোর পথে হাঁটল কেন্দ্রীয় সরকার। সোমবার সাধারণ বাজেটে সেই প্রস্তাব দেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আপাতত দুই ধাতুর উপর ১২.৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক ধার্য করা হয়। তা কমিয়ে ৭.৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
(একনজরে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর বাজেট ২০২১ বক্তৃতা)
সোমবার সাধারণ বাজেটে সীতারামন বলেন, ‘বর্তমানে সোনা এবং রুপোর উপর ১২.৫ শতাংশ হারে আমদানি শুল্ক ধার্য করা হয়। ২০১৯ সালের জুলাইয়ে যখন বাড়ানো হয়েছিল, তখন আমদানি শুল্ক ছিল ১০ শতাংশ। কিন্তু ধাতুগুলির দাম ভালোমতো বেড়েছে। তাই আগের স্তরে ফিরিয়ে আনার জন্য সোনা এবং রুপোর আমদানি শুল্ক কমিয়ে আনছি আমরা।’
আরও পড়ুন : সড়ক, রেল, চা-বাগান - ভোটের আগে বাজেটে কী কী 'উপহার' পেল বাংলা?
তারইমধ্যে ভারতীয় বাজারে এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম গোল্ড ফিউচার্সের দাম তিন শতাংশ বা ১,৫০০ টাকা পড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭,৯১৮ টাকা। বিশ্ব বাজারে হলুদ ধাতুর দাম বেড়েছে ১.২ শতাংশ। অন্যদিকে বিশ্ব বাজারের একলাফে উত্থানের (১০ শতাংশ) রেশ ধরে ভারতে এক কেজি সিলভার ফিউচার্সের দাম ৫.৫ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৭৩,৫০৮ টাকা। অথচ বাজেটের আগে সোমবার সকালে ভারতীয বাজারে ইতিবাচক শুরু করেছিল সোনা। এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম গোল্ড ফিউচার্সের দাম ০.৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৪৯,৫৬৬ টাকা। আর বিশ্ব বাজারের রেশ ধরে রুপোর দর একলাফে বেড়েছিল ছ'শতাংশ। তার ফলে এক কেজি সিলভার ফিউচার্সের দাম ৭৪,০০০ টাকার কাছে পৌঁছে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন : ৭৫ বছরের উর্ধ্বে নাগরিকদের দিতে হবে না ITR, অপরিবর্তিত কর কাঠামো
বিষয়টি নিয়ে মালাবার গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডসের চেয়ারম্যান আহমেদ এমপি জানান, দীর্ঘদিন ধরেই সোনা এবং রুপোর আমদানি শুল্ক কমানোর দাবি জানিয়ে আসছিল গয়না শিল্প। আমদানি শুল্ক বেশি রাখার ফলে অবৈধ আমদানি বাড়ছিল। ফলে আখেরে ক্ষতি হচ্ছিল সরকারের। সেখানে আমদানি শুক্ল কমিয়ে ৭.৫ শতাংশ করার যে প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে, তা সঠিক পথেই অগ্রগতি বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন : স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বাড়ল ১৩৭%, একনজরে দেখে নিন বাজেটের বড় ঘোষণা
তবে নির্দিষ্ট কিছু সোনা এবং রুপোর উপর কৃষি পরিকাঠামো বাবদ ২.৫ শতাংশ সেস ধার্য করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, কৃষি পরিকাঠামো সংক্রান্ত সেসের ফলে ক্রেতাদের উপর যাতে অতিরিক্ত বোঝা না পড়ে, তা নিশ্চিত করতেই আমদানি শুল্ক কমানোর পথে হেঁটেছে কেন্দ্র। অর্থাৎ সামঞ্জস্য বজায় রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। আর কৃষি পরিকাঠামো সংক্রান্ত সেসের ফলে সরকারের ভাঁড়ারে যে টাকা ঢুকবে, তা কৃষি-সহ অন্যান্য ক্ষেত্রের পরিকাঠামো উন্নয়নে কাজে লাগানো হবে।