আগে থেকেই গুঞ্জন চলছিল। সোমবার সাধারণ বাজেটে সেই জল্পনায় সিলমোহর পড়ল। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ঘোষণা করলেন, আগামী অর্থবর্ষেই খোলা বাজারে ভারতীয় জীবন বিমা নিগমের (এলআইসি) শেয়ার ছাড়তে চলেছে কেন্দ্র। একইসঙ্গে বিমাক্ষেত্রে আরও বেশি পরিমাণ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) দরজা খুলে দিলেন সীতারামন।
ইতিমধ্যে বাজারে এলআইসির শেয়ার ছাড়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে কেন্দ্র। সংসদে বাজেট বক্তৃতায় সীতারামন বলেন, ‘২০২১-২২ সালে আমরা এলআইসির আইপিও (বাজারে শেয়ার ছাড়ব) নিয়ে আসব। সেজন্য চলতি সেশনেই প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা হবে।’ আপাতত কেন্দ্রের হাতে এলআইসির ১০০ শতাংশ শেয়ার আছে। আট থেকে ১০ কোটি টাকার বাজারমূল্যের দরুণ আগামিদিনে দেশের সবথেকে বড় সংস্থায় পরিণত হতে পারে এলআইসি।
একইসঙ্গে বিমাক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) মাত্রা ৪৯ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৪ শতাংশ করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বেসরকারি বিমাকারীরা আরও বেশি পরিমাণ বিদেশি অর্থের ছাড়পত্র পাবেন। যা বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করবে এবং ভারতে বিমার ক্ষেত্রের পরিসরকে আরও বৃদ্ধি করবে। সেই 'ইতিবাচক' পদক্ষেপ ঘোষণার পর স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই) লাইফ ইনসিওরেন্সের শেয়ার বেড়ে যায় দু'শতাংশ। আইসিআইসিআই প্রুডেনশিয়াল লাইফ ইনসিওরেন্স, জেনারেল ইনসিওরেন্স কর্প লিমিটেডের শেয়ারের উত্থান হয়েছিল যথাক্রমে ছয় এবং ৫.৪ শতাংশ। এইচডিএফসি লাইফ ইনসিওরেন্স, বাজাজ ফিনসার্ভ, আইসিআইসিআই লোমবার্ড জেনারেল ইনসিওরেন্সরও অনেকটা বৃদ্ধির সাক্ষী থেকেছে।
আরও বেশি প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বিমা মহলও। ডেওলেট ইন্ডিয়ার ব্যাঙ্কিং এবং আর্থিক সেক্টরের সহযোগী রাসেল গায়তোন্ডে বলেন, ‘বিমাক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের মাত্রা ৪৯ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৪ শতাংশ করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাকে স্বাগত জানানো হচ্ছে। কারণ দীর্ঘদিন ধরেই বিমাক্ষেত্রের তরফে সেই আর্জি জানানো হচ্ছিল। সরকারে সিদ্ধান্তের ফলে ভারতের বিমাক্ষেত্রে আরও বিদেশি বিনিয়োগ আসবে এবং বিমাক্ষেত্রকে মজবুত করবে।’