২০২২–২৩ সালের প্রস্তাবিত বাজেটে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে বরাদ্দের পরিমাণ গত অর্থবর্ষের তুলনায় ২৫.৫১ শতাংশ কমেছে। মঙ্গলবার প্রস্তাবিত বাজেট পেশের মধ্য দিয়ে এই তথ্যই বেরিয়ে এল।
এদিন প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানান, ২০২১–২২ অর্থবর্ষে মহত্মা গান্ধী গ্রামীণ রোজগার যোজনা খাতে রিভাইস্ট এস্টিমেটের হিসাবে খরচ ধরা হয়েছে ৯৮ হাজার কোটি টাকা। তবে আগামী অর্থবর্ষে এই খাতে ব্যয় বরাদ্দের পরিমাণ ৭৩ হাজার কোটি টাকা ধরা হয়েছে। যেভাবে কাজের চাহিদা বাড়বে, সেভাবে এই খাতে ব্যয় বরাদ্দের পরিমাণও বাড়বে। উল্লেখ্য, গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার ক্ষেত্রে এই ১০০ দিনের কাজ যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ২০২১–২২ অর্থবর্ষে যখন বাজেট পেশ হয়েছিল, তখন এই খাতে ৭৩ হাজার কোটি টাকাই অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল।
এর আগে বিভিন্ন রাজ্য থেকে ১০০ দিনের কাজ করিয়ে নিয়ে টাকা ঠিকমতো না দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। গত সপ্তাহে ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর গীতা গোপীনাথ জানান, সরকারকে একটা প্রথমে নিশ্চিত করতে হবে যে ১০০ দিনের কাজের খাতে টাকা রাখা রয়েছে। গত বছর ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে বিভিন্ন রাজ্যে বকেয়া অর্থের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ বাড়ানোর কথা বলে। সেই মতো ৩০ শতাংশ বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছিল। তবে তারও আগের বছর যেখানে এই খাতে ১ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হয়েছিল, সেই তুলনায় অর্থের পরিমাণ বেশ কিছুটা কম।