আশা থাকলেও পূরণ হল না। বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই আম জনতার আশা ছিল যে ব্যক্তিগত আয়ের উপর কর ছাড়ের ঘোষণা করা হতে পারে কেন্দ্রের তরফে। তবে এদিন বাজেট পেশের সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বক্তৃতায় ব্যক্তিগত করের হার বা স্ল্যাব পরিবর্তন বা কোনো ছাড়ের সীমা বৃদ্ধির উল্লেখ ছিল না।
এদিকে রিটার্ন ফাইলের পরও ভুল সংশোধনের জন্য ২ বছর মিলবে বলে জানান সীতারামন। এদিন বাজেট পেশের সময় সীতারমন বলেন, ‘আয়কর রিটার্নে সময় ভুল হয়ে থাকলে তা শোধরানোর জন্য করদাতাদের বাড়তি সময় দেওয়া হবে এই অর্থবর্ষ থেকে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষ থেকে করদাতারা সংশ্লিষ্ট অ্যাসেসমেন্ট ইয়ারের দু'বছরের মধ্যে (বছর শেষের ২ বছরের মধ্যে) সংশোধিত রিটার্ন ফাইল করতে পারবেন। এর ফলে করদাতাদের রিটার্ন ফাইল করার প্রক্রিয়া সরল হবে। মামলার ঝঞ্জাট কমবে।’
এদিকে ক্রিপ্টো কারেন্সিকে এক প্রকার বৈধতা দিয়ে অর্থমন্ত্রী এদিন ঘোষণা করেন, এবার থেকে ক্রিপ্টো কারেন্সি থেকে আয় হলে তার উপর ৩০ শকাংশ কর ধার্য করা হবে। নির্মলা বলেন, ‘ভার্চুয়াল উপহার সম্পত্তি থেকে কোনও আয় করলে তাতে প্রাপকদের কর ধার্য করা হবে। ৩০ শতাংশ ধর দিতে হবে। ডিজিটাল সম্পত্তির লেনদেনে ৩০ শতাংশ কর গুনতে হবে।’
এদিকে এদিনের বাজেটে অর্থমন্ত্রী আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলার লক্ষ্যে কর্মসংস্থানের উপর জোর দেন। পাশাপাশি ৬০ লক্ষ কর্মসংস্থানের ঘোষণা করে তিনি বলেন, ‘আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্য পূরণের জন্য উৎপাদন সংক্রান্ত বিশেষ উৎসাহ বা ইনসেনটিভ প্রকল্পে দারুণ সাড়া মিলেছে। তার মাধ্যমে ৬০ লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি হবে আশা করা হচ্ছে। সঙ্গে বাড়তি ৩০ লাখ কোটি উত্পাদন হবে।’
পাশাপাশি সীতারমন ঘোষণা করেন, মূলধনী খাতে ব্যয় বাড়ানো হচ্ছে ৩৫.৪ শতাংশ। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘কর্মসংস্থান তৈরি করতে, উত্পাদন বৃদ্ধিতে, কৃষকদের উন্নত পরিকাঠামো প্রদানে, সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মূলধনী বিনিয়োগ। বেসরকারি বিনিয়োগের ধারা অবশ্যই জারি রাখতে হবে। ২০২২-২৩ সালে মূলধনী খাতে ব্যয় বাড়ানো হবে ৩৫.৪ শতাংশ। ২০২২-২৩ সালে তা বেড়ে হচ্ছে ৭.৫ লাখ কোটি টাকা। ২০২১-২২ সালে এটা ছিল ৫.৫৪ লাখ কোটি টাকা।’