আয়করের কাঠামো পরিবর্তন কমানো নিয়ে প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু বাজেটে তা পূরণ হয়নি। তা নিয়ে রীতিমতো মস্করা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। মজা করে জানান, তিনি কিনম্ কর বাড়াতে দেননি। সঙ্গে জানান, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নির্দেশ দিয়েছিলেন যে কোনওভাবেই আয়কর বাড়ানো যাবে না।
মঙ্গলবার বাজেটের পর সাংবাদিক বৈঠকে আয়কর কাঠামোর পরিবর্তন এবং করবিহীন আয়ের সীমা বাড়ানো নিয়ে যে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল, সে বিষয়ে নির্মলাকে প্রশ্ন করা হয়। সেই প্রশ্নের জবাবে মস্করা করে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি কর বাড়াতে দিইনি কিন্তু। আমি আবারও বলতে চাই, এক পয়সাও কর বাড়ানো হয়নি।' সঙ্গে তিনি যোগ করেন, 'আগেরবার প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ছিল, ঘাটতি যতই হোক, জনগণের উপর বাড়তি কর চাপানো যাবে না। এবারও একই নির্দেশ ছিল।’
২০১৪ সালের পর আর ব্যক্তিগত আয়করের কাঠামো পরিবর্তিত হয়নি। প্রথম নরেন্দ্র মোদী সরকারের প্রথম বাজেটে করবিহীন আয়করের সীমা দু'লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২.৫ লাখ করা হয়েছিল। এবার প্রবল প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু দেড় ঘণ্টার বাজেট বক্তৃতায় নিটফল হল শূন্য। যাবতীয় আশা ভেঙে চুরমার হয়ে গেল ব্যক্তিগত করদাতাদের। আয়কর কাঠামোর কোনও হেরফের করেননি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। সেই পরিস্থিতিতে কত টাকা আয়ে কত টাকা কর দিতে হবে, তা দেখে নিন নয়া এবং পুরনো কর কাঠামোর তুলনার মধ্যে দিয়ে।
পুরনো কর কাঠামো
১) ০-২.৫ লাখ – কোনও কর দিতে হয় না।
২) ২.৫ লাখ-৫ লাখ – ৫ শতাংশ।
৩) ৫ লাখ-৭.৫ লাখ – ১৫ শতাংশ।
৪) ৭.৫ লাখ-১০ লাখ – ২০ শতাংশ।
৫) ১০ লাখের বেশি - ৩০ শতাংশ।
বাজেট (Budget 2022) সংক্রান্ত যাবতীয় খবর দেখতে ক্লিক করুন এখানে
নয়া কর কাঠামো (ঐচ্ছিক)
২০২০ সালে নয়া কর কাঠামো চালু করা হয়। সেই নয়া কর কাঠামোয় কার্যত কোনও করছাড় (প্রভিডেন্ট ফান্ড, গৃহঋণ, জীবনবিমা, স্বাস্থ্যবিমার মতো বিষয়) পাওয়া যায় না। মেলে না হাউজ রেন্ট অ্যালোয়েন্স বাবদ ছাড়ও। তবে সেই কর কাঠামো বাধ্যতামূলক করা হয়নি। অর্থাৎ যাঁরা পুরনো কর কাঠামোয় থাকতে চান, তাঁরা পুরনো কাঠামো মোতাবেক কর দিতে পারবেন।
১) ০-২.৫ লাখ – কোনও কর দিতে হয় না।
২) ২.৫ লাখ-৫ লাখ – ৫ শতাংশ।
৩) ৫ লাখ-৭.৫ লাখ – ১০ শতাংশ।
৪) ৭.৫ লাখ-১০ লাখ – ১৫ শতাংশ।
৫) ১০ লাখ-১২.৫ লাখ – ২০ শতাংশ।
৬) ১২.৫ লাখ-২৫ লাখ – ২৫ শতাংশ।
৭) ১৫ লাখের বেশি – ৩০ শতাংশ।