আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নিজের জীবনের চতুর্থ বাজেট পেশ করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। বিগত প্রায় দুই বছর ধরে কোভিডে জর্জরিত ভারতীয় অর্থনীতি। এই আবহে এবছরের বাজেটে কোভিড আক্রান্ত অর্থনীতীকে চাঙ্গা করে তোলার লক্ষ্যেই বাজেট পেশ করতে পারেন অর্থমন্ত্রী। বিনিয়োগ বৃদ্ধি, কর্মসংস্থানের মতো ইস্যুগুলির উপর নজর থাকতে পারে নির্মলার। আর নির্মলার উপর চোখ টিকে গোটা দেশের।
বাজেট কেমন হতে পারে, তার একটা ইঙ্গিত মিলেছে গতকালই। অর্থমন্ত্রী সংসদে যে আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্ট পেশ করেছেন, তার মাধ্যমেই আগামী অর্থবর্ষে দেশের অর্থনৈতিক স্বাস্থ্যের হাল হকিকতের আন্দাজ পাওয়া গিয়েছে। সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী আগামী অর্থবর্ষে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ৮ থেকে ৮.৫ হতে পারে।
এদিকে এই মাসেই শুরু হতে চলেছে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বাজেটের একটি আলাদা তাত্পর্য রয়েছে বলে মত বিশ্লেষকদের। ভোটমুখী পাঁচ রাজ্যের মধ্যে অন্যতম হল পঞ্জাব ও উত্তরপ্রদেশে। এই কারণে বাজেটে গ্রামীণ অর্থনীতির উপর বিশেষ জোর দেওয়া হতে পারে বলে মত ওয়াকিবহল মহলের। এদিকে আম জনতাকে কিছুটা স্বস্তি দিতে আয়করের ঊর্ধ্বসীমা আড়াই লক্ষ থেকে বাড়ানো হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, পরিকাঠামোতে বিনিয়োগ, গবেষণা ও উন্নয়নে ব্যয়ের উপর ফোকাস, উৎপাদন ও পরিষেবা সহ মূল খাতগুলিতে ইনসেন্টিভ বৃদ্ধি, কর আইনের সংশোধনগুলি সরকারের অগ্রাধিকারের বিষয়বস্তুর মধ্যে থাকতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, দেশের অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার এবং কর সংগ্রহের গতি বজায় রাখার মধ্যে একটি সূক্ষ্ম ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে অর্থমন্ত্রীকে। চাহিদা বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলা করার ব্যবস্থা নেওয়ার দিকে নজর দিতে হবে তাঁকে। কোভিডের চলমান তৃতীয় ঢেউয়ের আবহে ছোট ব্যবসা এবং গ্রামীণ অর্থনীতিকে সাহাহ্য করতে ব্যবস্থা নেওয়ার উপর ফোকাস থাকতে পারে এবারের বাজেটে।