চিনের সঙ্গে দীর্ঘ ৩৩ মাস ধরে সংঘাত জারি রয়েছে সীমান্তে। তাই প্রতিরক্ষা খাতে বাজেটে কত বরাদ্দ করে, সেই দিকেই দেশবাসীর নজরছিল। কতটা পূরণ হল সে প্রত্যাশা। বুধবারের বাজেটে অর্থমন্ত্রী জানান, প্রতিরক্ষা খাতে বাড়ছে সরকারি ব্যয়ের বরাদ্দ। চলতি অর্থবর্ষ ২০২২-২৩এ প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ৫.২৫ লাখ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরে তা বেড়ে হবে ৫.৯৪ লাখ কোটি। পয়লা ফেব্রুয়ারি বুধবার সকালে বাজেট পেশের সময় এমনটাই জানালেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা। তবে রাজস্ব ও পেনশন খাতে বিপুল বরাদ্দের নিরিখে আধুনিক যুদ্ধসামগ্রীর জন্য ধার্য হল মাত্র এক চতুর্থাংশ।
গত বছরের বাজেটে প্রস্তাবিত ব্যয়ের দিকে তাকালে দেখা যাবে এই বৃদ্ধি প্রায় ১৩ শতাংশ বেশি। যদিও সংশোধিত ব্যয়ের তুলনায় এই বরাদ্দ বাড়ল মাত্র দেড় শতাংশ! এর ফলে সামরিক ক্ষেত্রের আধুনিকীকরণ প্রক্রিয়া বেশ ধীরগতিতেই এগোবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল।
এই বাজেটে ১.৬২ লাখ কোটি টাকা প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত মূলধনী খাতে বরাদ্দ করা হয়। অস্ত্র কেনা থেকে বিমান, যুদ্ধজাহাজের মতো অত্যাধুনিক যুদ্ধসামগ্রী তৈরির জন্য ব্যয় হবে মূলধনী খাতের বরাদ্দ অর্থ। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে এই খাতে ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ১.৫২ লাখ কোটি। যদিও পরবর্তীতে সংশোধিত ব্যয়ের হিসেব দাঁড়ায় ১.৫ লাখ কোটি। অথচ এই বছরের বাজেট অনুযায়ী রাজস্ব খাতে মোট ২,৭০,১২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। এই সম্পূর্ণ বরাদ্দই বেতন ও প্রতিষ্ঠান রক্ষণাবেক্ষণের কাজে ব্যয় করা হবে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে এই বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ২,৩৯,০০০ কোটি টাকা।
২০২৩-২৪এর বাজেটে অসামরিক প্রতিরক্ষা খাতে মূলধনী ব্যয় করতে বরাদ্দ করা হয়, ৮৭৭৪ কোটি টাকা। অন্যদিকে মূলধনী খাতে মোট ব্যয় করা হয় ১৩,৮৩৭ কোটি টাকা। তবে এর পাশাপাশি প্রতিরক্ষামূলক পেনশনের জন্যও বাড়ানো হয়েছে বরাদ্দ। বুধবারের বাজেটে এই খাতে মোট ১,৩৮,২০৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্রীয় সরকার। অর্থাৎ পেনশন অন্তর্ভুক্ত করে সব মিলিয়ে মোট রাজস্ব খাতে বরাদ্দ করা হল ৪,২২,১৬২ কোটি টাকা! বাজেটের তথ্য অনুযায়ী আগামী অর্থবছরে প্রতিরক্ষা খাতে মোট বরাদ্দ হল ৫,৯৩,৫৩৭.৬৪ কোটি টাকা।