২০২৩ সালের বাজেটে নয়া কর কাঠামোই আরও সহজ হল করদাতাদের জন্য। এই কাঠামো অনুযায়ী করযোগ্য আয়ের নিম্নসীমা ২.৫ লাখ থেকে বেড়ে দাঁড়াল ৩ লাখে। এছাড়াও ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের বাজেটে করের স্ল্যাবের সংখ্যা কমল। কর ছাড়ের জন্য আয়ের নিম্নসীমা ৫ লাখ থেকে বেড়ে দাঁড়াল ৭ লাখ। এর ফলে চলতি অর্থবছরের তুলনায় আগামী অর্থবছরে অনেকটাই সাশ্রয় হবে নগদের। কীভাবে?
চলতি অর্থবছরে ২.৫ লাখ পর্যন্ত কর ছাড় রয়েছে। ২.৫ লাখ থেকে ৫ লাখ পর্যন্ত করের হার ৫ শতাংশ। নয়া ব্যবস্থায় ৩ লাখ পর্যন্ত কর ছাড় ও ৩ থেকে ৬ লাখের মধ্যে আয় হলে কর হার ৫ শতাংশ। এই হিসাবেই যে ব্যক্তির বার্ষিক আয় ৭ লাখ টাকা তাঁকে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে দিতে হবে ৩৩,৮০০ টাকা। সেখানে ২০২৩ এর প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ী আগামী অর্থবর্ষে কিছুই দিতে হবে না তাকে। একইভাবে এই অর্থবর্ষে যার ১০ লাখ বার্ষিক আয়, তাকে ৭৮,০০০ টাকা দিতে হবে। আগামী অর্থবর্ষে যা কমে দাঁড়াবে ৫৪,৬০০ কোটি টাকা।
আগামী অর্থবছরে নয়া কর কাঠামোয় সবকটি স্ল্যাব তিন লাখের তফাতে তৈরি করা হয়েছে। যা চলতি অর্থবছরে ২.৫ লাখ টাকার তফাতে ছিল। এছাড়াও ২০২২-২৩ এ মোট ৬ টি কর স্ল্যাব ছিল। যা এই বছর কমে ৫ টি কর স্ল্যাব হল। ১২.৫ লাখ থেকে ১৫ লাখের মধ্যে আয় হলে ২৫ শতাংশের কর হার আর দিতে হবে না। আগামী অর্থবর্ষে এই স্ল্যাবে দিতে হবে ২০ শতাংশ কর। অর্থাৎ ১৫ লাখ আয়ের উপর করের পরিমাণ ১.৯৫ লাখ থেকে কমে দাঁড়াল ১.৪৫৬ লাখ টাকা।
উচ্চবিত্ত করদাতাদের জন্যও এবারের বাজেটে কর ছাড়ের ঘোষণা ছিল। পাঁচ কোটির বেশি বার্ষিক আয়, এমন করদাতাদের জন্য করের সারচার্জ ৩৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৯ শতাংশ করা হল। মূলত নয়া কর কাঠামোতে কর দিতে উৎসাহিত করতেই কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ।
নয়া কর কাঠামোকে আরও বেশি জনপ্রিয় করে তুলতে সব মিলিয়ে ২০-৩০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছে এবারের বাজেটে। ২০২৩-এর বাজেট অনুযায়ী ৭ লাখের উপর আয় হলে প্রতি স্ল্যাবেই কর ছাড়ের পরিমাণ ২০ থেকে ৩০ শতাংশ রয়েছে। যা মধ্যবিত্তদের অনেকটাই সাশ্রয়।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup