বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > ‘আমি রেগে বলব না ভালোবেসে বলব...’, লোকসভায় বক্তৃতায় বাধা পেয়ে চেয়ারকে তোপ মহুয়ার

‘আমি রেগে বলব না ভালোবেসে বলব...’, লোকসভায় বক্তৃতায় বাধা পেয়ে চেয়ারকে তোপ মহুয়ার

তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র (ছবি সৌজন্যে পিটিআই) (PTI)

মহুয়ার অভিযোগ, তাঁর বক্তৃতার জন্য বরাদ্দ নির্দিষ্ট সময়ের আগেই নাকি তাঁর মাইক বন্ধ করে দেন লোকসভার চেয়ারে থাকা স্পিকার।

লোকসভায় মহুয়া মৈত্রের বক্তৃতা মানেই বিজেপিকে তুলোধোনা। গতকালও তার নড়চড় হয়নি। আর তাঁর বক্তৃতায় যে বিজেপি বিদ্ধ হবে, সেই ইঙ্গিত তিনি আগেই দিয়ে রেখেছিলেন নিজের টুইট বার্তার মাধ্যমে। সেই মতো একের পর এক অভিযোগে বিজেপিকে বিদ্ধ করেন সংসদে। তবে মহুয়ার অভিযোগ, তাঁর এই বক্তৃতার জন্য বরাদ্দ নির্দিষ্ট সময়ের আগেই নাকি তাঁর মাইক বন্ধ করে দেন লোকসভার চেয়ারে থাকা স্পিকার। পাশাপাশি বক্তৃতা দেওয়ার সময় মহুয়াকে লোকসভার চেয়ার বলেছিলেন, ‘মহুয়াজি ভালোবেসে বলুন।’ এতেও আপত্তি কৃষ্ণনগরের সাংসদের। এদিনকার মতো অধিবেশন মুলতুবি হতেই টুইট করে মহুয়া লেখেন, ‘আমি রেগে বলব নাকি ভালোবেসে বলব সে নিয়ে জ্ঞান দেওয়ার চেয়ার কে?’

মহুয়া মৈত্রের সাফ বক্তব্য, চেয়ার কোনও সদস্যকে শুধুমাত্র নিয়মের দিক দিয়ে ঠিক করতে আটকাতে পারেন। তাঁর কটাক্ষ, নীতি জ্ঞানের শিক্ষা দেওয়া চেয়ারের কাজ নয়। টুইট বার্তায় মহুয়া লেখেন, ‘চেয়ার কে হয় যে তিনি আমাকে আটকে (আমার মূল্যবান সময় নষ্ট করেছেন) জ্ঞান দেবেন যে আমি রেগে কথা বলি নাকি ভালোবেসে বলি? আপনার কোনও অধিকারই নেই ম্যাডাম। আপনি শুধু মাত্র আমাকে নিয়মের দিক দিয়ে ঠিক করতে পারেন। আপনি লোকসভার মরাল সায়েন্সের টিচার নন।’

মহুয়া আরও বলেন যে শাসক দলকে বিরোধী সাংসদের কণ্ঠরোধ করা থেকে বিরত রাখতে বিরোধীদের একত্রিত হতে হবে। মহুয়া মৈত্র অপর এক টুইট বার্তায় লেখেন, ‘লোকসভা স্পিকার আমাকে কথা বলার জন্য অন্তত ১৩ মিনিট দিয়েছিলেন। এই আবহে আমার বক্তৃতা আটকানো নিয়ে আমি তাঁকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন যে ঘটনার সময় তিনি চেয়ারে ছিলেন না, তাই তাঁকে আমি দোষ দিতে পারি না। যখন আমি তাঁকে আরও চেপে ধরি, তখন তিনি বলেন, ‘এটা আমার মহানুভবতা ছিল যে আমি আপনাকে ১৩ মিনিটের জন্য কথা বলতে দিয়েছিলাম। অবিশ্বাস্য।’

 

 

বন্ধ করুন