করোনাভাইরাসের ধাক্কায় এবার বেসামাল হওয়ার মুখে ভারতের বুলেট ট্রেন প্রকল্প। বিষয়টির সঙ্গে অবহিত আধিকারিকরা জানিয়েছেন, করোনার প্রভাবে আমদাবাদ-মুম্বই হাইস্পিড রেল করিডরের জমি অধিগ্রহণ ও টেন্ডার প্রক্রিয়ায় দেরি হতে পারে। তার জেরে কাজ শেষ করার জন্য ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের যে লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে, তা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
গত মাসে রেল জানিয়েছিল, করোনা মহামারী সত্ত্বেও নির্ধারিত সময় প্রকল্প সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। ৪ অগস্ট 'হিন্দুস্তান টাইমস'-কে রেল বোর্ডের ভিকে যাদব জানিয়েছিলেন, ৬০ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। করোনার জেরে সেই প্রক্রিয়া কিছুটা থমকে গেলেও তা আবার নতুন করে গতি পেয়েছে। পরবর্তী ছ'মাসের মধ্যে অধিকাংশ জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশাপ্রকাশ করেছিলেন তিনি।
যদিও এবার আধিকারিকরা বলেছেন, ‘গত বছর ন'টি টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। কিন্তু মহামারীর জেরে তা চালু করা হয়নি। তার জন্য প্রকল্পের সময়সীমা আরও পিছিয়ে যেতে পারে।’ পাশাপাশি তাঁরা জানিয়েছেন, ওই রুটে বুলেট ট্রেন চালানোর প্রকল্পে প্রাথমিকভাবে ১.৮ ট্রিলিয়ন টাকা খরচ পড়বে বলে ধরা হয়েছে। তার মধ্যে ঋণ হিসেবে ৮১ শতাংশ অর্থ দেবে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশনে এজেন্সি (জাইকা)। কিন্তু এবার সেই খরচের পরিমাণ বাড়তে পারে বলে অনুমান আধিকারিকদের।
ন্যাশনাল হাইস্পিড রেল কর্পোরেশনের (এনএইচআরসিএল) তরফে জানানো হয়েছে, বুলেট ট্রেন প্রকল্পের জন্য আপাতত ৬৩ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। সংস্থার এক মুখপাত্র 'হিন্দুস্তান টাইমস'-কে বলেন, 'প্রকল্পের উপর করোনার মহামারীর প্রভাব কতটা পড়েছে, তা নির্ধারণ করা কঠিন। কারণ তা (মহামারী) এখনও চলছে। প্রাথমিকভাবে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে মুম্বই-আমদাবাদ হাইস্পিড রেল প্রকল্প শেষ করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছিল। (সেজন্য) প্রায় ৬৩ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ হয়ে গিয়েছে এবং ৫০৮ কিলোমিটারের মধ্যে ৩৪৫ কিলোমিটারের (৬৮ শতাংশ) কাজকর্মের জন্য ইতিমধ্যে টেন্ডার ডাকা হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে আছে এমএএইচআর স্টেশন (মুম্বইয়ে মাটির নীচে স্টেশন)।'