কাশ্মীর উপত্যকার কুখ্যাত হিজবুল মুজাহিদ্দিন জঙ্গি বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর কেটে গিয়েছে বহু বছর। তবে এই কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদীকে ঘিরে একের পর এক বিতর্ক কিছুতেই থামেনি। কাশ্মীরে এককাউন্টারে বুরহানের মৃত্যু নিয়ে পাকিস্তানের তরফে এযাবৎকালে বহু উস্কানিমূলক বার্তাও এসেছে। এদিকে, সেই সব পর্ব পার করে ৭৩ তম প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন কাশ্মীর দেখল এক নতুন ছবি। উপত্যকায় প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন বুরহান ওয়ানির বাবা।
জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামার ত্রালে এক সরকারি স্কুলে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে বুরহান ওয়ানির বাবা মুজাফ্ফর ওয়ানি উত্তোলন করেন জাতীয় পতাকা। উল্লেখ্য, পেশায় শিক্ষক মুজাফ্ফর ওয়ানির হাতে দেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের ছবি ক্রমেই উপত্যকার বুকে আলোচনায় উঠে আসে। এর আগে, ২০১৬ সালে জুলাই মাসে অনন্তনাগে নিরাপত্তাবাহিনী ও জঙ্গিদের মধ্যে এক গুলির লড়াই চলে। সেই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় হিজবুল কমান্ডার বুরহান ওয়ানির। তার সঙ্গে সেখানেই মৃত্যু হয় আরও একজনের। উল্লেখ্য, কাশ্মীরের বুকে তার মৃত্যু সন্ত্রাসী ঘটনা প্রবাহে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে। বহু সন্ত্রাসী কার্যকলাপে তা ধাক্কা দেয়। উল্লেখ্য, বহু জঙ্গি নাশকতার মূল হোথা বুরহানের মৃত্যু নিয়ে যদিও সরব হতে থাকে পাকিস্তান। তবে, কূটনৈতিক পথে তার মোক্ষম জবাব দিতে ছাড়েনি ভারতও।
উল্লেখ্য, বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর জেরে কাশ্মীরে ব্যাপক বিক্ষোভও দেখা যায় একটা সময়। প্রায় পাঁচ মাস ধরে সেই বিক্ষোবের আঁচে দগ্ধ হয় কাশ্মীর। বহু জন এই বিক্ষোভে সামিল হয়ে প্রাণ হারান। ভূস্বর্গের দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়েছিল হিংসার আঁচ। উল্লেখ্য, কাশ্মীরের দাদাসারার বাসিন্দা বুরহান ওয়ানি। প্রথমে জেলা কমান্ডার হিসাবে তার পরিচিতি ছিল। পরে সে মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গিদের তালিকায় নিজের নাম লিখিয়ে নেয়। ২২ বছরের বুরহানের নামে ১০ লাখ টাকার পুরস্কারও ঘোষিত ছিল।