পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোয় সেনা অভ্যুত্থানের ভ্রুকুটি। রবিবার দেশটির রাজধানী ওয়াগাদোগু-সহ বিভিন্ন জায়গায় সেনা ব্যারাক থেকে গুলির আওয়াজ পাওয়া যায়। যাতে সেদেশে সেনা অভ্যুত্থানের আশঙ্কা ছড়ায়। তবে সরকারের তরফে বিবৃতি দিয়ে অভ্যুত্থানের খবর অস্বীকার করা হয়েছে।
রবিবার ভোরে বুরকিনা ফাসোর একাধিক সেনা বারাকে গোলাগুলির আওয়াজ পাওয়া যায়। সেনাবাহিনীর সদস্যরা শূন্যে গুলি চালান। সংবাদসংস্থা জানাচ্ছে, রাজধানী ওয়াগাদোগুতে লামিজানা বারাকে গুলির আওয়াজ পাওয়া যায়। ওই বারাকেই থাকেন সেদেশের সেনার জেনারেল। এছাড়া বারাকের ভিতরে রয়েছে একটি কারাগার। সেখানে ২০১৫ সালে দেশে সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টায় লিপ্ত সেনা আধিকারিকদের বন্দি রাখা হয়েছে। রাজধানী থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে কায়া সেনা বারাকেও গুলির শব্দ পাওয়া যায়।
সেদেশের সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, সেনা অভ্যুত্থানের খবর ভুয়ো। প্রেসিডেন্ট রোচ কাবোরাকে কেউ গ্রেফতার করেনি। কিছু বিশৃঙ্খল সেনা এই কাজ করেছে বলে জানানো হয়েছে ওই বিবৃতিতে।
পশ্চিম আফ্রিকার একাধিক দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। ইতিমধ্যে বুরকিনা ফাসোর প্রতিবেশী দেশ মালিতে ক্ষমতার দখল নিয়েছে সেনাবাহিনী। অতলান্তিক মহাসাগরের উপকূলে গিনির দখল নিয়েছে সেদেশের সেনা। গত বছর মধ্য আফ্রিকার দেশ চাদে গুলিবিনিময়ে মৃত্যু হয় সেদেশের প্রেসিডেন্টের। এর পর সেদেশের ক্ষমতার দখল নেয় সেনা।
আল কায়দা ও ইসলামিক স্টেটসের জঙ্গিদের সঙ্গে ব্যাপক সংঘাত চলছে বুরকিনা ফাসো সরকারের। গত বছর সেদেশে ২,০০০ মানুষের প্রাণ গিয়েছে। এর পর প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে ওয়াগাদোগুর রাজপথে হিংসাত্মক বিক্ষোভ দেখান সরকার বিরোধীরা। তার পর থেকেই দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থানের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।