দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত বর্মার সরকারি বাসভবনের কাছেই আবর্জনা ও গাছের শুকনো ঝরা পাতার স্তূপের মধ্যে মিলল আধপোড়া নোটের টুকরো অংশ। সেগুলি ৫০০ টাকার নোটের অংশ বলেই দাবি করা হচ্ছে।
রবিবার (২৩ মার্চ, ২০২৫) দুপুরে সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে ২৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়। তাতে দেখা যাচ্ছে - রাস্তার মধ্য়েই পড়ে রয়েছে শুকনো ঝরা পাতা। আর, সেই পাতার মধ্যেই ঢুকে রয়েছে পোড়া নোটের টুকরো অংশ। সেগুলিকে হাতে তুলেও দেখানো হয় ক্যামেরায়।
দাবি করা হচ্ছে, যে স্থানে এই ভিডিয়ো রেকর্ড করা হয়েছে, সেটি বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বাড়ির কাছেই একটি জায়গা! আরও বলা হচ্ছে, রাস্তা ঝাঁট দেওয়ার সময় সাফাইকর্মীরা নাকি ওই নোটের পোড়া অংশ প্রথম দেখতে পান।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, অন্য়ান্য দিনের মতোই রবিবারও বিচারপতি বর্মার বাড়ির সামনে এবং আশপাশের রাস্তা ঝাঁট দিচ্ছিলেন সাফাইকর্মীরা। তখনই তাঁদের নজরে আসে আবর্জনার স্তূপ ও ঝরা পাতার মধ্যে পড়ে রয়েছে পোড়া নোটের ওই টুকরো অংশগুলি।
ইন্দ্রজিৎ ও সুরেন্দ্র নামে দুই সাফাইকর্মীর বক্তব্যও সংবাদমাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। তাঁরা দাবি করেছেন, শুধুমাত্র এদিনই নয়, এর আগেও তাঁরা ওই এলাকায় রাস্তা ঝাঁট দেওয়ার সময় এরকমই পোড়া নোটের টুকরো কুড়িয়ে পেয়েছিলেন।
তাহলে কি বিচারপতি বর্মার সরকারি বাসভবনে আগুন লাগা ও সেখানে বান্ডিল বান্ডিল নোট পুড়ে যাওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে, সেই ঘটনার সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক রয়েছে? এই প্রশ্নের কোনও উত্তর দিতে চাননি ওই সাফাইকর্মীরা।
তাঁদের বক্তব্য, তাঁরা রাস্তা ঝাঁট দেন। সেটাই তাঁদের কাজ। সেই কাজ করতে গিয়ে দু'দিন পোড়া নোটের টুকরো দেখতে পেয়েছেন - একথা ঠিক। কিন্তু, এর বেশি তাঁদের পক্ষে কিছুই বলা সম্ভব নয়। কারণ, তাঁরা এর থেকে বেশি কিছু জানেন না।
এদিকে, এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই মুখ খুলেছেন অভিযুক্ত বিচারপতি যশবন্ত বর্মা। তাঁর দাবি, যখন এই ঘটনা ঘটেছে, তখন তিনি তাঁর সরকারি বাসভবনে বা দিল্লি শহরে ছিলেন না। স্ত্রীকে নিয়ে অন্যত্র গিয়েছিলেন।
তাছাড়া, ওই সরকারি বাসভবনের যে অংশে পোড়া নোট পাওয়া গিয়েছে, সেটি বাড়ির মূল অংশের বাইরে রয়েছে। সেখানে বাইরের লোকজন যাতায়াত করে। তিনি বা তাঁর পরিবারের কোনও সদস্য ওই টাকা সেখানে রাখেননি এবং তাঁরা এই বিষয়ে কিছুই জানেন না।
যদিও সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যেই তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে এবং বিচারপতি বর্মাকে আপাতত বিচারপ্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।